Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

তৃণমূল সমর্থককে খুনের চেষ্টা, অভিযুক্ত কংগ্রেস

তৃণমূল সমর্থক এক যুবককে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক কংগ্রেস নেতা সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। মালদহের চাঁচলের শীতলপুরে রবিবার রাতে ওই ঘটনাকে ঘিরে চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ওই যুবক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা হয়। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, ওই যুবকই তাঁদের দলের এক নেতার স্ত্রীর অশালীন আচরণ করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০৭
Share: Save:

তৃণমূল সমর্থক এক যুবককে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক কংগ্রেস নেতা সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। মালদহের চাঁচলের শীতলপুরে রবিবার রাতে ওই ঘটনাকে ঘিরে চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ওই যুবক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা হয়। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, ওই যুবকই তাঁদের দলের এক নেতার স্ত্রীর অশালীন আচরণ করেন। বাড়ির লোকেরা তা দেখে ফেলায় পালানোর সময় পড়ে গিয়ে ওই যুবক জখম হয়েছেন বলে তাদের অভিযোগ।

ওই যুবককে রাতেই চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চাঁচলের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আহত যুবকের নাম মহম্মদ মুসাবির। তার মা মঞ্জুরা বেগম স্থানীয় অঞ্চল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। অভিযুক্তরা হলেন খাদেমুল শেখ, তার স্ত্রী লিপিবিবি, খাদেমুল শেখের দুই ভাই রেজাউল আলি, সাজু শেখ ও বাবা আব্দুল জাব্বার। খাদেমুল শেখ এলাকার কংগ্রেস নেতা। তাঁর বৌদি তথা রেজাউল আলির স্ত্রী রেজিয়াবিবি অলিহন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্যা। মুসাবিরের পরিবার আগে কংগ্রেস করলেও সম্প্রতি তারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে।

মুসাবিরের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে তাঁকে খাদেমুল শেখ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা করে। রাতে তাঁরাই মুসাবিরকে হাসপাতালে ভর্তি করান। এদিন বিষয়টি জানতে পেরে মুসাবিরের পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হন। মা মঞ্জুরা বেগমের দাবি, ‘‘কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওরা ছেলেকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা করে।’’ একই দাবি করেছে হাসপাতালে ভর্তি মুসাবিরও।

অভিযুক্ত খাদেমুলের পরিবারের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ওই যুবক খাদেমুলের স্ত্রী লিপিবিবিকে হামেশাই উত্ত্যক্ত করতেন। রবিবার বাড়িতে একা পেয়ে তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণের চেষ্টা করে। লিপিবিবির চিত্কারে বাড়ির লোকেরা এসে তাঁকে ধরে ফেলেন।

পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী রেজাউল আলির অভিযোগ, ‘‘আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। অথচ আমাকে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই যুবক বৌদির সঙ্গে অশালীন আচরণ করার সময় বাড়ির লোকেরা তা দেখে ফেলে। ধ্বস্তাধ্বস্তি করে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে ধারালো কিছুতে ওর পেটে আঘাত লাগে। খুনের উদ্দেশ্য থাকলে কেন আমাদের পরিবারের লোকেরা ওকে হাসপাতালে ভর্তি করাত?’’

চাঁচল-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ইন্দ্রনারায়ণ মজুমদার বলেন, ‘‘এতে রাজনীতি নেই। দু’টি পরিবারই কংগ্রেস করে বলে জানি। এখন বাঁচার জন্য তৃণমূলের আশ্রয় নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’’ চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, ‘‘জখম যুবকের পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। কেন ওরা নিজেদের তৃণমূল বলে দাবি করছে জানি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE