শিলিগুড়িতে বসন্ত উত্সবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব ও তাঁর স্ত্রী শুক্লাদেবী। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
দিনভর শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় বসন্ত উৎসবে অংশ নিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর স্ত্রী শুক্লা দেবী এবং তাঁদের ছেলেকে নিয়েও এ দিন অনেক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে তাঁকে। উৎসবে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যও।
সকালে শিলিগুড়ির সারদাপল্লি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে আয়োজিত বসন্ত উৎসবে যোগ দেন মন্ত্রী গৌতমবাবু। সেখান থেকে ১৬ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে যান। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে হরিমন্দির থেকে দোল উপলক্ষে শোভাযাত্রায় যোগ দেন মন্ত্রী। সেখান থেকে দাগাপুরে বসুন্ধরা’র বসন্ত উৎসবে যোগ দেন। বিকেলেও পঞ্জাবিপাড়ায় একটি অনুষ্ঠান ভবনে বিহারী কল্যাণ মঞ্চের উদ্যোগে হোলির মিলন উৎসবে অংশ নেন। পরে ওই উৎসবে যান প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবুও।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। আঠেরোখাই সরোজিনী সঙ্ঘের উদ্যোগেও ক্লাব চত্বরে নাচ, গান, আবির খেলার আয়োজন করা হয়েছিল।
কোচবিহারে মদনমোহন মন্দিরে দোলের দিন সকাল থেকেই ভিড় ছিল। আবির খেলায় মেতে ওঠে অনেকেই। তুফানগঞ্জেও মদনমোহন মন্দিরে পুজো হয়েছে। মালবাজার শহরের সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষদের উদ্যোগে বসন্ত উৎসব পালিত হল। এ দিন সকাল থেকেই মালবাজার শহরের কলোনি ময়দানে আড্ডার মেজাজে উৎসব শুরু হয়। নবীন, প্রবীণ শিল্পীদের সমন্বয়ে গান, আবৃত্তি এবং নৃত্যে জমে ওঠে বসন্ত উৎসব। যোগ দেয় শিশুশিল্পীরাও। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা সুধাংশু বিশ্বাস, চন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, মীনাক্ষী ঘোষেরা জানান, প্রায় শতাধিক বাসিন্দা উৎসবে যোগ দিয়েছেন। দুপুরে উৎসব শেষে খিচু়ড়ি, আলুর দম দিয়ে মধ্যাহ্নভোজনেরও ব্যবস্থা ছিল। চন্দ্রনাথ ভট্টচার্যের কথায় বসন্ত সব থেকে ভাল করে অনুভব করা যায় ডুয়ার্সেই।
আলিপুরদুয়ারে এ দিন সকালে রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ গানের মধ্যে দিয়ে প্রভাতফেরি হয়। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে প্রভাতফেরি শেষ হয় আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে। সেখানে প্রায় শতাধিক নৃত্যশিল্পী বসন্ত উৎসবে অংশ নেন। একটি নাচের প্রতিষ্ঠানের তরফে দেবজয়া সরকার বলেন, “জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির আদলে এদিন আলিপুরদুয়ারে প্রভাতফেরি হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে নাচের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ জন নৃত্যশিল্পী রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও বসন্ত ঋ
তুর গানের মাধ্যমে এদিন শহরে বসন্ত উৎসব পালন করেন।” আলিপুরদুয়ার শহরের পার্করোড এলাকায় নেতাজি মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত উৎসব। উৎসব কমিটির তরফে সুপ্রিয় রায় বলেন, “প্রথম বার আমার অনুষ্ঠান করলাম। এখানে নাচ গানের পর আবির খেলা হয়।”
মালদহ জেলাতেও পালিত হল বসন্ত উৎসব। এদিন মালদহের বিভিন্ন নৃত্যসংস্থার তরফ থেকে সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ বের হয় প্রভাত ফেরি। প্রভাত ফেরিটি ইংরেজবাজারের নেতাজি মোড় থেকে পুর শহর প্ররিক্রমা করে। পোস্ট অফিস মোড়ে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। এরপর শুভঙ্কর শিশু উদ্যানে নাচ, গান হয়। ছোটরা এবং বড়োরাও আবির খেলায় মেতে উঠে।
রং খেলছেন মালদহের তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী
কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে এদিন রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুল চত্বর, উদয়পুর, বিধাননগর সহ বিভিন্ন পাড়ায় বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুরুষ ও মহিলারা নাচ, গান, নগরকীর্তন করেন। একে অপরকে বিভিন্ন রঙের আবীর মাখিয়ে দেন। শহরের বিভিন্ন এলাকার বসন্ত উৎসবে হাজির ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক স্মিতা পান্ডে, রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত, রায়গঞ্জের ডিএসপি (ডিআইবি) সুজিত ঘোষ-সহ অন্যান প্রশাসনিক কর্তারা। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা জানান, দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বালুরঘাটে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে বালুরঘাট হাই স্কুলের মাঠে একযোগে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। নাচ, গান আবির খেলায় মেতে ওঠে সকলে। অন্যদিকে পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী দলীয় কাউন্সিলর এবং অনুগামীদের নিয়ে মিছিল করে হোলির শুভেচ্ছা জানান বাসিন্দাদের। লাড্ডু বিলি করা হয়।
শিলিগুড়ি ও দার্জিলিঙের দোল চিত্র...
বিশ্বরূপ বসাক ও রবিন রাইয়ের ক্যামেরায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy