Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

পড়াশোনা ব্যাহত বিশ্ববিদ্যালয়ে ন’মাসেও তৈরি হয়নি ভবন

কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ন’মাস। এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন। তেমন কোনও উদ্যোগও শুরু হয়নি এখনও।

কলেজ ভবনেই চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। নিজস্ব চিত্র।

কলেজ ভবনেই চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। নিজস্ব চিত্র।

গৌর আচার্য
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৩০
Share: Save:

কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ন’মাস। এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন। তেমন কোনও উদ্যোগও শুরু হয়নি এখনও। কারণ জমিই নাকি মেলেনি। তাই কবে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে স্নাতক স্তরের পাশ ও অনার্স কোর্স এবং স্নাতকোত্তরের পঠনপাঠন শুরু করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুঁইমালির দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা ভবন সহ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ তৈরির জন্য অন্তত ৩০ একর জমির প্রয়োজন। গত ছ’মাস ধরে জেলাশাসককে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়ে ও মৌখিক অনুরোধ করে সরকারি জমির ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারি জমির ব্যবস্থা না হওয়ায় প্রশাসনিক ও শিক্ষাভবন সহ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ তৈরির কাজ আটকে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অতিরিক্ত ক্লাসরুম, বেঞ্চ ও ল্যাবরেটরি তৈরি না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে স্নাতক স্তরের পাশকোর্সের সঙ্গে অনার্স ও স্নাতকোত্তরের পঠনপাঠন চালু করা সম্ভব নয়।’’

উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক রণধীর কুমার বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমি সামগ্রিক ভবন তৈরির একটি নকশা জমা দিতে বলেছি। সেই নকশা হাতে পেলে জমির পরিমাণ নির্ধারিত করে সহজেই জমি পাওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’’

উপাচার্য জানান, খুব শীঘ্রই নকশা তৈরি করে জেলাশাসকের কাছে জমা দেওয়া হবে।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করে রাজ্য সরকার। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া হাইস্কুল ও দেবীনগর কৈলাসচন্দ্র রাধারানি বিদ্যাপীঠে সকালবেলায় পাসকোর্সের পঠনপাঠন চালু করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একদিনে চালু করা হয় কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগের ১৬টি বিষয়ের অনার্স ও ১০টি বিষয়ে স্নাতকোত্তরের পঠনপাঠনও।

ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নব্যেন্দু ঘোষের অভিযোগ, ওই দুই হাইস্কুলে স্নাতক স্তরের উপযুক্ত আধুনিক ল্যাবরেটরি ও যন্ত্রপাতি না থাকায় বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের প্র্যাকটিকাল ক্লাস ব্যহত হচ্ছে। রাজ্যপালের কাছে সমস্যার সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে। এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রাণেশ সরকারের বক্তব্য, ক্লাসরুম ও বেঞ্চের অভাবে অনার্স ও স্নাতকোত্তরের পড়ুয়াদের পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE