দুর্গাপুজোর মুখে শহরের সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করল রায়গঞ্জ পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, গত তিন দিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ওই কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ও বিসর্জন ঘাটের মেরামতির কাজও করা হচ্ছে। মহালয়ার আগেই সমস্ত কাজ শেষ করা হবে বলে পুরকর্তৃপক্ষের দাবি।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কংগ্রেসের রণজকুমার দাস বলেন, ‘‘পুজোর দিনগুলিতে প্রতিমা ও মন্ডপ দেখতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে রায়গঞ্জ শহরে লক্ষাধিক দর্শনার্থী ভিড় জমান। তাই শহর সম্পর্কে দর্শনার্থীদের মধ্যে যাতে কোনও খারাপ ধারণা ও পুজোমন্ডপে যেতে কোনও সমস্যা না হয়, তারজন্য পুরসভার চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্তের উদ্যোগে সৌন্দর্যায়ন ও নানা উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, পুরসভার নিজস্ব তহবিলের টাকায় সমস্ত কাজ করা হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে বিদ্রোহীমোড় হয়ে শিলিগুড়িমোড় পর্যন্ত রাস্তার মাঝে থাকা ডিভাইডার নতুন করে রঙ করা হচ্ছে। যে সমস্ত এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় ডিভাইডার আংশিক ভেঙে গিয়েছে সেগুলি মেরামত করা হচ্ছে। ঘড়িমোড় এলাকার টাওয়ার ঘড়িটিও রঙ করার কাজ শুরু হয়েছে। রণজবাবু জানান, দর্শনার্থীদের যাতে হাঁটাচলা করতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য পুজোর চার দিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের প্রধান রাস্তায় যানবাহন ও রিকশা চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। তাই দর্শনার্থীদের রিকশা বা টোটোতে চেপে পুজোমন্ডপে যাওয়ার সময়ে যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না হয় তার জন্য শহরের উকিলপাড়া, নিশিথসরণী, নেতাজিপল্লি, মিলনপাড়া, অশোকপল্লি, মোহনবাটি, বীরনগর, দেবীনগর, কসবা সহ বিভিন্ন এলাকার বাইপাস রাস্তা মেরামতি কা হচ্ছে। সেই সঙ্গে, রায়গঞ্জের বন্দর ও খরমুজাঘাট এলাকার কুলিক নদীর বিসর্জন ঘাট সংস্কার ও রেলিং রং করার কাজও শুরু হয়েছে। শহরের কোথায় আলোর দরকার রয়েছে কীনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রণজবাবুর দাবি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি, শহরের দেবীনগর, ফোয়ারা মোড়, পুর বাসস্ট্যান্ড, বিবিডি মোড় ও বন্দর কালীবাড়ি মোড় এলাকায় উজ্বল আলোযুক্ত পাঁচটি হাইমাস পথবাতি বসানো হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিতবাবুর বিধায়ক তহবিল ও কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের সাংসদ তহবিলের টাকায় আলোগুলি বসানো হয়। পুরসভার দাবি, এ বছরও পুরসভার তরফে দশমীর দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুটি বিসর্জন ঘাটে ঘাট সহায়ক নিয়োগ করা হবে। বিসর্জন চলাকালীন দুর্ঘটনা এড়াতে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঘাট সহায়কেরাই উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে প্রতিমা সংগ্রহ করে বিসর্জন দেবেন। পাশাপাশি, দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে পুজোর চারদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুরসভার তরফে প্রাথমিক চিকিত্সা, পানীয় জলের পরিষেবা সহ একাধিক সহায়তা কেন্দ্র খোলা হবে।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উন্নয়নের কাজে আমরা সবসময় পুরসভাকে সহযোগিতা করি। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করেই সমস্ত কাজের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy