পূর্তমন্ত্রীর ‘আপ্যায়নের’ দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগে জলপাইগুড়ির দুই ইঞ্জিনিয়রকে শোকজ করল পূর্ত দফতর। সরকারি সূত্রের খবর, এই দু’জনের একজন পূর্ত দফতরের জলপাইগুড়ি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র। অন্যজন ওই ডিভিসনের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র। সম্প্রতি ওই ডিভিসনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র ওই দু’জনকে শোকজ করেছেন। ওই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী অবশ্য সংবাদমাধ্যমে কোনও কথা বলতে চাননি। তিনি বলেন, “আমি নির্বাচনী প্রচারে জলপাইগুড়ি গিয়েছিলাম। অফিসিয়াল কোনও বিষয়ে কথা বলব না।” জলপাইগুড়ির এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র মানস সাহাও ওই ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, “দফতরের বিষয় নিয়ে বলার এক্তিয়ার নেই।”
পূর্ত দফতর সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারের পাশাপাশি গত ২১ এপ্রিল সরকারি বৈঠকে যোগ দিতে জলপাইগুড়ি যান রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। ওই দিন রাতে ক্লাব রোড এলাকায় পূর্ত দফতরের একটি বাংলোয় তাঁর রাত্রিবাসের কথা ছিল। খোদ এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র ওই ব্যাপারে আগাম প্রস্তুতি বৈঠক করেন। মন্ত্রীকে ‘অ্যাপায়নের’ দায়িত্ব দেওয়া হয় একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র ও একজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রকে । কিন্তু রাতে মন্ত্রী সেখানে গেলে কোনও আধিকারিককে পাননি বলে অভিযোগ। এমনকি খাবারের ব্যবস্থা দূর অস্ত, পানীয় জল পর্যন্ত মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। একজন কর্মী রাতে ওই বাংলোয় ছিলেন। তিনি মন্ত্রীকে চেনেন কিনা একমাত্র সেই প্রশ্নের উত্তরে‘ হ্যাঁ’ বলা ছাড়া খাবার, পানীয় জল, সাবান আছে কিনা সমস্ত প্রশ্নেই অকপটে’ না’ বলে জানিয়ে দেন। তার পরেই ক্ষুব্ধ মন্ত্রী নিজের দফতরের বাংলো ছেড়ে শহরের অন্য একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই বিষয়টি নিয়ে পূর্ত দফতরের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। খোদ এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রকে বেকায়দায় ফেলতেই ওই দুই ইঞ্জিনিয়র গরহাজির থাকেন, এমন অভিযোগও কর্মীদের একাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠায় শেষ পর্যন্ত ওই দু’জনকে শোকজ করেন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র। কিন্তু ওই ঘটনায় পূর্ত দফতরের পদস্থ কর্তারাও ক্ষুব্ধ। তার জেরে নবান্ন থেকেও পুরো ঘটনাটি নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। আধিকারিকদের একটি মহলের আশঙ্কা, যা অবস্থা তাতে শোকজের মুখে পড়তে পারেন পদস্থ এক কর্তাও। এমনকি শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে বদলির পর্যন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। দফতরের এক কর্তা জানান, ঘটনায় রীতিমতো বিধ্বস্ত এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রও।
চিতাবাঘের হামলায় জখম। চা বাগানে গরু আনতে গিয়ে চিতাবাঘের হামলায় জখম হলেন এক ব্যক্তি। সোমবার বিকেলে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের ধরণীপুর চা বাগানে জখম ওই ব্যক্তি রাম কছুয়া নাগরাকাটার চেংমারি চা বাগানের বাসিন্দা। গরু আনতে তিনি ধরণীপুরে আসেন। সেখানেই চিতাবাঘ তাঁর ঘাড়ে এবং বুকে কামড় বসিয়ে পালায়। তাঁকে মঙ্গলবাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy