দার্জিলিঙের জজ বাজারে ফাঁকা পড়ে থাকা একটি নির্মীয়মাণ সরকারি ভবনে সোমবার থেকে দলীয় অফিস চালু করল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (পাহাড়)। বাম আমলে ওই ভবনেই দফতর খুলেছিল সিপিএম। এখনও ভবনের দোতলায় তা রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, সিপিএমের সঙ্গে পাল্লা দিতে নয়, ভবনটি খালি থাকাতেই তাঁরা দফতর খুলেছেন। প্রশাসন বা সরকার যখনই খালি করে দিতে বলবে, তখনই খালি করে দেওয়া হবে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জজ বাজারের ওই সরকারি ভবনটি রাজ্যের শিল্প দফতরের অধীন। আশির দশকে ভবনটির কাজ শুরু হয়। সেই সময় জিএনএলএফের নেতৃত্বে পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলন শুরু হওয়ায় ভবনটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকেই তিন তলা ওই বাড়িটি ওই ভাবেই পড়ে রয়েছে।
সরকারি ভবনে বিনা অনুমতিতে দলের দফতর খোলা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি (পাহাড়) রাজেন মুখিয়া বলেন, “আমরা জানি না, এই ভবনটি কোন দফতরের অধীন রয়েছে। এটি দীর্ঘদিন ধরেই কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তাই আমরা ব্যবহার করছি মাত্র। সরকার বললেই আমরা খালি করে দেব। ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংস্কারের জন্য আমরা কিছু খরচ করছি।” তিনি জানান, পাহাড়ের সদর দফতর ছাড়াও ছাত্র, যুব এবং মহিলা শাখা সংগঠনের দফতর খোলা হবে এখানে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক পুনীত যাদব শুধু বলেছেন, “আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।” সিপিএমের দাবি, ১৯৯৭ সাল থেকে তাদের দলের অফিস রয়েছে এই ভবনে। জেলা সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ সমন পাঠক বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দলের দফতর খোলা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। এটা পুরোপুরি গণতান্ত্রিক বিষয়। কিন্তু যে ভবনে আমাদের দফতর রয়েছে সেখানে এসে তৃণমূল অফিস খোলায় অন্যরকম মনে হচ্ছে। ওঁরা যে কোনও সময় গোলমাল পাকাতে পারেন।” সিপিএমের আশঙ্কা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পাহাড় তৃণমূলের সভাপতি রাজেনবাবু। তিনি বলেন, “সিপিএম নেতাদের আশঙ্কার বা ভয়ের কিছু নেই। আমরা আমাদের মতো অফিস চালাব। ওঁরা ওদের মতো থাকুন। সিপিএম অফিস নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy