সরকারি উদ্যোগে ধান কেনা শুরু হল ময়নাগুড়িতে। সেখানে কৃষকদের থেকে অনেক বেশি চোখে পড়েছে ফড়েদের। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।
সরকারি ধান কেনার শিবিরে চাষি নয়, ফড়েদের ভিড় করার অভিযোগ উঠল ময়নাগুড়িতে। শনিবার ওই ঘটনাকে ঘিরে চাষিদের ক্ষোভ সামাল দিতে নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পরে ধান কেনা শুরু করতে হল রাইস মিল মালিকদের। চাষিদের অভিযোগ নিয়ে অবশ্য খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিকেরা মুখ খোলেননি। ময়নাগুড়ির বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ জানান, অভিযোগ শোনা মাত্র কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, এপিক কার্ড দেখে ধান কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ দিন স্থানীয় কৃষি ফার্মে ময়নাগুড়ি এবং খাগরাবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাষিদের ধান কেনার শিবির বসে। সকাল ৯টা থেকে রাইস মিল মালিকদের ধান কেনার কথা। সেই মতো চাষিরা ভিড় করতে শুরু করেন। কিন্তু ফার্মে পৌঁছে দেখতে পান, অনেক আগে থেকেই ময়নাগুড়ি ছাড়াও জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ এলাকার ফড়েরা প্রচুর ধান নিয়ে গোটা এলাকা দখল করে বসে আছেন। পরিস্থিতি দেখে চাষিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বাগজান এলাকার চাষি দুলাল সরকার বলেন, “বাজারে যেখানে এগারশো পঞ্চাশ টাকা কুইন্টাল দরে ধান কেনা চলছে, সেখানে সরকারি শিবিরে কুইন্টাল পিছু দাম দেওয়া হচ্ছে তেরশো ষাট টাকা। এই দেখে চাষিদের জায়গায় ফড়েরাই ধান বিক্রির জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন।” উত্তেজিত চাষিরা এর প্রতিবাদ শুরু করলে ধান কেনার কাজ বেলা দেড়টা পর্যন্ত পিছোয়। বেলা ২টো নাগাদ বিডিও-র নির্দেশে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, এপিক কার্ড দেখে চাষিদের নতুন তালিকা তৈরি করে দুই পঞ্চায়েত প্রধানের তত্ত্বাবধানে ধান কেনার কাজ শুরু হয়। ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কমল দাস বলেন, “শুরুতে সামান্য সমস্যা হয়েছিল। এ দিন সন্ধে পর্যন্ত প্রায় একশো চাষির ধান কেনা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy