মুখোমুখি দুই বাইকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল তিন যুবকের। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও দুই যুবক। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার থানার গজলডোবা এলাকায়।
মৃতরা ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ির বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম সুষেণ বর্মন (২২), চন্দন বর্মন (২১) এবং মহম্মদ আফতাবুল (২৭)। সুষেণ তাঁর মাসতুতো ভাই চন্দন বর্মন-সহ বাইকটিতে ছিলেন মনোজ সাহা নামের আরও এক যুবক। সকলেই ওদলাবাড়ির টাউনশিপ এলাকার কার্তিক কলোনির বাসিন্দা। সুষেণ কাঠমিস্ত্রির কাজ করলেও চন্দন মালবাজার পরিমল মিত্র স্মৃতি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
অন্যদিকে ওদলাবাড়ির ঘিসবস্তির মহম্মদ আফতাবুল আর আরেক সঙ্গী মহম্মদ রহিমকে নিয়ে আমবাড়ি এলাকা থেকে গজলডোবার পথে ওদলাবাড়ি ফিরছিলেন। আফতাবুলের ট্রাক থাকায় গাড়ির ভাড়া সংক্রান্ত কাজেই আমবাড়ি গিয়েছিলেন। দুই মাস আগে আফতাবুল বিয়েও করেছিলেন। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে থাকা দুই বাইক গজলডোবা পাঁচনম্বর এলাকার একটি বাঁকের মুখে মুখোমুখি ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই সুষেণ, চন্দন এবং মহম্মদ আফতাবুলের মৃত্যু হয়। জখম হন মনোজ সাহা এবং মহম্মদ রহিম। পাঁচ বাইক আরোহীর কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। মহম্মদ আফতাবুলের কাছে হেলমেট থাকলেও সেটি বাইকে ধারে ঝোলানো ছিল।
ঘটনার পর বাইক আরোহীদের উপর পুলিশি নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাইকে তিনজন চেপে ঘন্টায় সত্তর কিমিরও বেশি গতিতে গজলডোবার মত এলাকায় বাইক ছুটলেও পুলিশি কোনও নজরদারি ছিল না। কেউ হেলমেট না পড়লেও কোথাও পুলিশ তাঁদের ধরেননি।
গজলডোবায় পর্যটন হাব তৈরি হচ্ছে। সেখানে এখন থেকেই পুলিশি নজরদারি প্রয়োজন। তা কোথাও ঠিকঠাক দেখা যাচ্ছে না। মালবাজারের এসডিপিও নিমা ভুটিয়া জানিয়েছেন, গজলডোবা তিস্তা ব্যারাজে নিয়মিত বাইকে নজরদারি চলে। তিনি বলেন, “বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি। কাজে যোগ দিয়ে বিষয়টি দেখব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy