ফের ডানকানস গোষ্ঠীর অচল বাগরাকোট চা বাগানে মৃত্যুর ঘটল। শুক্রবার বিকেলে বাগানের ওল্ড ট্যাঙ্ক লাইনে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধার। বৃদ্ধার নাম কানিছ সারকি (৭৭)। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এ দিন বাড়িতেই মৃত্যু হয় কানিছের। কোমর ও হাঁটুর ব্যথায় চলাচলের শক্তি হারিয়েছিলেন তিনি। চলতি মাসের ২ তারিখে বাগরাকোট বাগান পরিদর্শনে এসে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব কানিছ এবং তাঁর মেয়ে কমলাকেও দেখেছিলেন। মন্ত্রীর নির্দেশে মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয় কানিছকে। পরে পরিবারের তরফে আবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
কমলার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বাগান তো ন’মাস ধরে এক প্রকার বন্ধই। মা মালবাজারের হাসপাতালে ভর্তি থাকলে বাগানে অস্থায়ী ভাবে যে কাজটুকু পাওয়ার আশা থাকে সেটুকুও পাব না। তাই মাকে ফিরিয়ে আনি। তা ছাড়া মায়ের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে ছিল না।’’ কমলার দিদি মণিকলা সারকি মুম্বইতে কাজ করেন। দিদির পাঠানো টাকাই এখন সম্বল বলে জানান কমলা।
মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেন, ‘‘মৃত্যুটি দুর্ভাগ্যজনক। বাগানে স্বাস্থ্যপরিষেবা এবং ত্রাণবিলি অব্যাহত রয়েছে।’’ জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা জানান, যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যের। তবে এ ক্ষেত্রে বয়সজনিত সমস্যাই মৃত্যুর মূল কারণ।
এ দিকে শুক্রবার মেটেলি ব্লকের ডানকানের নাগেশ্বরী চা বাগানের আরও দুই অসুস্থকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। লক্ষ্মী নাগাশিয়া নামের বাগানের ২ নম্বর লাইনের চর্মরোগে আক্রান্ত এক মহিলাকে মঙ্গলবাড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। অন্য দিকে মহিমা খেড়িয়া নামের বাগানের ৯ বছরের কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত এক শিশুকন্যাকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রয়োজনে এদের জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালেও পাঠানো হতে পারে বলেই মেটেলি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy