Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপি আক্রান্ত, অভিযুক্ত তৃণমূল

বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের চার নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে শামুকতলা থানার ডাঙ্গি এলাকায় এই ঘটনার পরে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী ও অঞ্চল যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সহ চার জনের নামে শামুকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। যদিও তৃণমূল এটাকে ‘মিথ্যা ও সাজানো’ ঘটনা বলে দাবি করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শামুকতলা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:২৯
Share: Save:

বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের চার নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে শামুকতলা থানার ডাঙ্গি এলাকায় এই ঘটনার পরে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী ও অঞ্চল যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সহ চার জনের নামে শামুকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। যদিও তৃণমূল এটাকে ‘মিথ্যা ও সাজানো’ ঘটনা বলে দাবি করেছে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”

বিজেপির কোহিনূর অঞ্চল সভাপতি রাজেন সরকারের অভিযোগ, “এদিন রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা ধারালো অস্ত্র হাতে বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে গিয়ে আমাদের নেতা কর্মীদের নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বিজেপি করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এর পরেই পার্টি অফিসে ঢুকে দলীয় পতাকা ও ব্যানার ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেয়। টেবিল বেঞ্চ চেয়ার ভেঙে দেয়। আমরা কেউ ভয়ে ঘরের বাইরে বের হইনি। পুলিশকে খবর দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ আসে।” তবে তাঁর অভিযোগ, চার জনের নামে লিখিত অভিযোগ জানালেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।

তৃণমূলের কোহিনূর অঞ্চল সভাপতি চন্দন মোহন্ত বলেন, “কোহিনূর গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের দখলে। প্রতিদিন দলে দলে মানুষ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। ডাঙ্গি এলাকায় আমাদের শক্ত সংগঠন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এখানে প্রার্থী দেওয়ার লোক পায়নি। বিজেপি পার্টি অফিসে হামলার কোন ঘটনাই ঘটেনি। ওরা নিজেরাই ভাঙচুর চালিয়ে এলাকায় উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।” তাঁর দাবি, “আমাদের চার কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চাইছে। রাজনৈতিক ভাবে আমরা এর মোকাবিলা করব।”

বিজেপির জেলা সভাপতি গুণধর দাসের দাবি, লোকসভা ভোটের পর থেকে গোটা জেলা জুড়ে বিজেপির সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে। তিনি বলেন, “এর মধ্যে জেলায় আমাদের সদস্য ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আগামী এক মাসে সেটা ৩২ হাজার ছাড়াবে। ডাঙ্গি এলাকায় আমাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। যেটা তৃণমূলের চক্ষুশূল। আমাদের শক্তিকে তারা প্রতিহত করতে চাইছে।” তাঁর দাবি, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bjp office attack shamuktala tmc
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE