Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বারের যুদ্ধে হারে কি অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রশ্ন তৃণমূলে

শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে জেতায় আনন্দে মাতলেন জোটের আইনজীবীরা। মঙ্গলবার বার অ্যাসোসিয়েশনের একটি পত্রিকা প্রকাশের অনুষ্ঠান কার্যত পরিণত হয় জয়ের ‘সেলিব্রেশন’-এ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৬ ০৩:৩৯
Share: Save:

শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে জেতায় আনন্দে মাতলেন জোটের আইনজীবীরা। মঙ্গলবার বার অ্যাসোসিয়েশনের একটি পত্রিকা প্রকাশের অনুষ্ঠান কার্যত পরিণত হয় জয়ের ‘সেলিব্রেশন’-এ। বারের সদস্যদের সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। তবে পত্রিকা প্রকাশের অনুষ্ঠান বলে তৃণমূল আইনজীবী সেলের সদস্যদের অনেককেই দেখা গিয়েছে। মিষ্টিমুখ অনু্ষ্ঠানে তাঁরাও সামিল হন। তবে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ায় আলাদা করে এ সব নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। বরং সকলের একই কথা, পত্রিকা প্রকাশ নিয়ে রাজনীতি নয়।

বিদায়ী সম্পাদক চন্দন দে বলেন, ‘‘আমরা পরপর ক্ষমতায় রয়েছি। বেশির ভাগ সদস্য আমাদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তাই জয় এসেছে। তাতে সব রাজনৈতিক মনোভাবাপন্ন আইনজীবীরাই ছিলেন।’’ এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি। বরং পত্রিকা প্রকাশে সহযোগিতার জন্য সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

গত ২৭ এপ্রিল এই পত্রিকা প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। তখন বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে কার্যকরী সমিতির পক্ষে ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারে— এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল তৃণমূল আইনজীবী সেলের সদস্যরা। সে জন্য তা স্থগিত হয়ে যায়। যদিও ওই পত্রিকা পরিচালন সমিতিতে তৃণমূলের আইনজীবী সেলের লোকেদেরও রাখা হয়েছিল। ফলে তাঁরা কয়েক জন এতে ক্ষুব্ধ হন বলে জানা গিয়েছে। সেই ক্ষোভ পরে ছড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের আইনজীবীদের একাংশের মধ্যে। এমনকী, পত্রিকা প্রকাশে রাজনীতি নয় বলে তাঁদেরই একাংশ সরবও হন। যা তৃণমূল আইনজীবী সেলের হারের অন্যতম কারণ বলেও অনেকে মনে করছেন। তৃণমূলের ওই আইনজীবীদের একাংশকেও জয়ের উৎসবে সামিল করানো হয়।

সম্পাদক পদে নিলয় চক্রবর্তীকে প্রার্থী করাটাও তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়েছিল। তা নিয়েও এ দিন চর্চা হয়েছে তৃণমূল শিবিরে। নির্বাচন প্রক্রিয়া মিটে যাওয়ায় আর তা নিয়ে মুখ খুলছেন না কেউই। পত্রিকা প্রকাশ মঞ্চে নতুন সভাপতি সুরেশ মিত্রুকা, সচিব উদয়শঙ্কর মালাকারদের পাশেই ছিলেন তৃণমূলের পীযূষ ঘোষ, অরিন্দম মিত্ররা। আরও কয়েক জন শহরে না-থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানানো হয়। তবে তাঁরা না বললেও তৃণমূলের এক আইনজীবী স্বীকার করেন, তাঁরা বারের সংগঠন অনেকটা গুছিয়ে আনা সত্ত্বেও কয়েকটি বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে সংগঠনেরই কয়েক জন ‘সেমসাইড’ খেলে দেওয়ায় গোলমাল হয়েছে। তবে এ বার না হওয়ায় আগামী কয়েক বছরে সংগঠন ধরে রাখা মুশকিল হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। রাজ্যে জোটের ফল ভাল হলে সংগঠনে ফের ভাঙন ধরতে পারে বলেও মনে করছে তৃণমূলের একাংশ।

অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে পত্রিকা প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জোটের জয়ের সমস্ত কারিগরই। কংগ্রেসের আইনজীবী সেলের সদস্য থেকে বাম মনোভাবাপন্ন আইনজীবী সংগঠনের সদস্যরা এ দিন অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন। সকাল থেকেই তা নিয়ে মেসেজ চালাচালি চলেছে। জোটের সদস্য, সমর্থকদের সামিল করাতে চূড়ান্ত তৎপরতাও দেখা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE