Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের পরীক্ষা বাতিলের দাবি

পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল করার দাবি তুলল ফরওয়ার্ড ব্লক। দলের কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে। তা হলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ দিনও দাবি করেছেন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মী নিয়োগের ওই পরীক্ষায় কোনও কারচুপি হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০২:৫৭
Share: Save:

পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল করার দাবি তুলল ফরওয়ার্ড ব্লক। দলের কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে। তা হলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ দিনও দাবি করেছেন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মী নিয়োগের ওই পরীক্ষায় কোনও কারচুপি হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মী নিয়োগের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে গত ২০ অগস্ট। সেখানে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কন্যা, ভাইঝি এবং আরও তিন ঘনিষ্ঠ চল্লিশের উপর নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু বাকি চাকরি প্রার্থীদের এক জন বাদে সকলেরই নম্বর তিরিশেরও নীচে। এরপরেই অভিযোগ ওঠে ওই পরীক্ষায় দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ করা হয়েছে। তা নিয়ে আন্দোলনও শুরু হয়। বৃহস্পতিবার এক দল যুবক বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান। তখন এক শিক্ষাকর্মীকে মারধরও করা হয়। শুক্রবার পুণ্ডিবাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি-র নেতা-কর্মীরা। তাঁরাও নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি তুলে রেজিস্ট্রারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মেও এ দিন বিঘ্ন ঘটে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক দিলীপ রায় বলেন, “আমরা আতঙ্কিত। ছাত্রছাত্রীরাও আতঙ্কে। পুলিশের নিরাপত্তা চাইছি।” কোচবিহারের জেলাশাসক পি উলগানাথন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উপাচার্য ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, “বারবারই বলছি, পরীক্ষায় কোনও দুর্নীতি হয়নি। বিধি মেনে কেউ আবেদন করলে প্রয়োজনে খাতা দেখানো হবে। তবুও গোলমাল পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে।” উদয়নবাবুর বক্তব্য, খাতা দেখানোর উপরে বারবার জোর দেওয়া হচ্ছে কেন? তাঁর দাবি, “এতে তো পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ আরও দানা বাঁধছে। তা হলে কি পরীক্ষার নামে প্রহসন হয়েছে?” বিজেপি-র কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “অভিযোগ শুনেছি, কয়েকজন পরীক্ষার সময়ে সাদা খাতা জমা দেন, তারপরে সেই খাতায় ঠিকঠাক উত্তর লিখে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত হওয়া জরুরি।” ইন্দ্রজিৎবাবু বলেন, “সাদা খাতা জমা দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনও ঘটনা ঘটার সুযোগই ছিল না।”

রবীন্দ্রনাথবাবুরও বক্তব্য, কোনও কারচুপি হয়নি। তাঁর যুক্তি, তৃতীয় শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে মোট শূন্য পদ ৫। তার মধ্যে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য দু’টি আসন সংরক্ষিত। রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায়, “তারপরেও বলা হচ্ছে আমার ঘনিষ্ঠ পাঁচ জন যাতে চাকরি পায়, সে কারণে দুর্নীতি করা হয়েছে। কিন্তু ওই পাঁচ জনের কেউই তফসিলি জাতি, উপজাতিভুক্ত নন।” বাম নেতাদের বক্তব্য, রবীন্দ্রনাথবাবু তাঁর কন্যা সহ তিন জনের চাকরি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। তৃণমূল জানিয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

university panchanan barma
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE