বাসের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর জেরে রায়গঞ্জের তালমা এলাকায় তিনটি বাসে ভাঙচুর চালানোর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি রুটে সুপার বাস চলাচল বন্ধ রাখল বাস মালিক এবং কর্মী সংগঠন। নিরাপত্তার দাবিতে জেলা প্রশাসনেরও দ্বারস্থ হন বাস মালিকেরা। দিনভর বাস বন্ধ থাকায় নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। তালমায় বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়িগামী বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় উজ্জ্বল সরকার নামে এক যুবকের। ফরেয়াভিটার বাসিন্দা ওই যুবকের মৃত্যুর পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দাদের একাংশ বাসটিকে দাঁড় করিয়ে ভাঙচুর শুরু করে বলে অভিযোগ। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে। অবরোধে আটকে পড়া শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়িগামী দুটি সুপার বাস এবং মিনিবাসেও ভাঙচুর চালানো হয়। যাত্রীদের হুমকি দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। রাজগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সুপার বাসগুলি সব সময়ই তীব্র গতিতে যাতায়াত করে। গতি বেশি থাকায় কোনও কারণে ব্রেক কষতে হলেও তা সম্ভব হয় না। তালমা এলাকায় ৩১ ডি জাতীয় সড়কের দু’পাশেই হাট রয়েছে। তাই দিনভরই রাস্তা পারাপার করেন মানুষ। প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও, বাসের গতি কমাতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। যদিও বাস মালিকদের দাবি, জাতীয় সড়ক হলেও দু’পাশে বসতি এলাকা এবং হাট থাকায় গতি কমিয়ে যাতায়াত করা হয়। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সুপার বাস ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শিবু দে বলেন, “কোনও চালক ইচ্ছে করে দুর্ঘটনা ঘটান না।” বাস ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি এবং বাসকর্মীদের নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি। প্রশাসনের তরফে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস মেলায় আজ থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy