ভোটের ২৪ ঘণ্টা পরেও সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব শাসক-বিরোধী দু’দলই। মালবাজারের ক্রান্তিতে শনিবার রাতে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকাতেই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। কোচবিহারের পাটছড়া এলাকাতেও তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি এবং তৃণমূলের একটি অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার বিকেলে তৃণমূল-বিজেপি দু’দলের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে পাটছড়া এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির জেলা সম্পাদক নিখিল দে’র অভিযোগ, “পরিকল্পিতভাবে রতন বসুনীয়া নামে দলের এক কর্মীকে মারধর করে তৃণমূলের সমর্থকরা তাঁর বাড়ই ভেঙে দেয়।” যদিও, তৃণমূলের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি খোকন মিঁয়া পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “বিজেপি সমর্থকরা আমাদের এক কর্মীকে মারধর করে, দলীয় অফিসে আচমকা হামলা চালাল। তার জেরেই গোলমালের সূত্রপাত হয়।” পুলিশ জানায়, দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাদানুবাদ থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, “গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
অন্যদিকে, মালবাজারের ঘটনায় ১৪ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে শনিবার অভিযোগও দায়ের হয়েছে। মালবাজারের এসডিপিও নিমা শেরিং ভুটিয়া বলেন, “মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় যাতে গোলমাল না ছড়ায় তাঁর জন্য নজরদারি চলছে।”
চেঙমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কড়ুইবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সিপিএমের শাখা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম বুথে বাম প্রার্থীর পোলিং এজেন্টেরও কাজ করেন। গত বৃহস্পতিবার ভোট শেষ হওয়ার পরে হাবিবুল ইসলাম এবং সিপিএমের ক্রান্তি ২নম্বর লোকল কমিটির সম্পাদক ইয়াজুদ্দিন আহমেদদের নেতৃত্বে সিপিএম কর্মীরা এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ইট, ঢিল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরও চালানো হয় বলে এলাকার তৃণমূল নেতা নুরুল হুদার অভিযোগ। এরপরে শুক্রবার রাত ৮টার পর তৃণমূলের সমর্থকরা হাবিবুল ইসলামের বাড়িতে চড়াও হয় ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। সে সময় হাবিবুলবাবু বাড়িতে ছিলেন না, তাঁর স্ত্রীকে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার সিপিএম নেতার স্ত্রী সাহেরা বানু ক্রান্তি ফাঁড়িতে ১৪ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ দিন সিপিএমের জেলা নেতারা হাবিবুলবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউল আলম বলেন, “চেঙমারি এলাকায় দলের শক্ত সংগঠন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত ভোটেও আমরা জিতেছি। সে কারণেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।”
যদিও, তৃণমূলের ক্রান্তি রাজনৈতিক ব্লকের নির্বাচনী কোর কমিটির আহ্বায়ক পঞ্চানন রায় বলেন, “সিপিএম নিজে থেকে ঝামেলা পাকিয়ে নিজেরাই ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy