চেয়ারপার্সনের ছেলে এবং বৃদ্ধ ভাসুরকে মারধর ও হুমকির অভিযোগের পর দু’দিন কেটে গেলেও ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করেনি।
সোমবার রাত ১০টা নাগাদ তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহার বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে। রাত ৩টে নাগাদ চেয়ারপার্সনের স্বামী শ্যামল লাহা বালুরঘাট থানায় গিয়ে সিন্টু সরকার, অমৃত মণ্ডল এবং দু’জন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক-সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে ছেলে রাকেশ এবং বৃদ্ধ দাদা কমল লাহাকে মারধর ও হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বালুরঘাট থানার পুলিশ ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও মামলাই দায়ের করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দিনভর বাড়ির মধ্যে আতঙ্কে কাটিয়েছেন চেয়ারপার্সনের পরিবার এদিন বাড়ি থেকেও বের হননি চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহা যাননি পুরসভায় তিনি বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি ঘটনাটি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য নেতা মহলে কথাবার্তা চলছে সে কারণে হয়তো পুলিশ অভিযোগের মামলা রুজু করেনি যা হয়েছে, তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
বিকেলে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি তথা আইন পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র বলেন, রাতেই চয়নিকা আমাকে ফোনে ঘটনার কথা জানানোর পর আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলি অভিযুক্তরা কোন দল করে, তা দেখার প্রশ্ন নেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরও কোনও ব্যাপার নেই। পুলিশকে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। বালুরঘাট থানার আইসি বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ এখনও দেখে উঠতে পারিনি। সকাল থেকে পতিরাম কলেজের ভোটের ডিউটি নিয়ে ব্যস্ত রাতে ফিরে গিয়ে দেখব।” জেলা পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।” চয়নিকাদেবীর অভিযোগ, হামলাকারীরা দলেরই সমর্থক। ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে যুক্ত। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল পুরবোর্ডের দলনেতা রাজেন শীল বিকেলে বলেন, “চয়নিকার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেব।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সিন্টু সরকার বলেন, “কয়েকটি কুকুর ছানা রাস্তা পার হচ্ছিল বলে ব্রেক কষতে হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy