চাঁদা আদায়কারীকে ধরেছেন জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র।
রাস্তায় জোর করে গাড়ি আটকে কালীপুজোর চাঁদা আদায় হলেও পুলিশের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ছিল ব্যবসায়ীদের। এমনকী, চাঁদার জুলুমের জেরে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর-বালুরঘাট প্রধান পূর্ত সড়কে বাইরের জেলার ট্রাক-লরি ঢুকতে চাইছেন না বলেও ক্ষোভ জানান তাঁরা। শেষ পর্যন্ত চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় লাঠি নিয়ে নামতে হলো জেলাশাসক তাপস চৌধুরীকে। পুলিশের লাঠি হাতে নিয়ে তাড়া করে চাঁদা আদায়কারী এক ক্লাব সদস্যকেও ধরলেন তিনি।
অভিযোগ, সম্প্রতি ওই এলাকায় রাজ্য সড়কে চাঁদার জুলুমে ছোট ব্যবসায়ী থেকে ট্রাক চালকেরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল গঙ্গারামপুর থানার দিকেই। শুক্রবার দুপুরে গঙ্গারামপুর এলাকায় সরকারি কাজে যান জেলাশাসক। গাড়ি থেকেই তিনি দেখতে পান রাস্তার উপর একের পর এক গাড়ি জোর করে আটকে কালীপুজোর চাঁদা তোলা হচ্ছে। তবে পুলিশের কোনও দেখা মেলেনি। ঘটনায় দৃশ্যতই বিরক্ত জেলাশাসক তাপসবাবু তাঁর গাড়ি থেকে নেমে দেহরক্ষী পুলিশের লাঠি উঁচিয়ে চাঁদা আদায়কারীদের তাড়া করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দেহরক্ষীও ছুটতে থাকেন। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। একজনকে ধরে ফেলে জেলাশাসক পুলিশের হাতে তুলে দেন। চাঁদা আদায়কারী দলগুলির অন্য সদস্যরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর রসিদ বই-সহ জেলাশাসক ধৃত যুবককে গঙ্গারামপুর থানার হাতে তুলে দেন। তাপসবাবু বলেন, “রাস্তা আটকে জোর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গঙ্গারামপুরের তিনটি ক্লাবের বিরুদ্ধে থানাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” তবে ব্যবসায়ীদের তোলা নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার শীসরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “জোর জুলুম করে চাঁদা আদায়ের ঘটনা আমাদের নজরে এলে তৎক্ষণাত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উদাসীনতার অভিযোগ ঠিক নয়। জেলাশাসকের নজরে পড়ায় পদক্ষেপ করেছেন। বিষয়টি দেখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy