শঙ্কর চক্রবর্তীকে সংবর্ধনা। পাশেই সোনা পাল। — অমিত মোহান্ত
দায়িত্ব নিয়ে জেলায় ফিরে বৃহস্পতিবার দলের সাধারণ কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক উচ্ছ্বাসের মধ্যে সংবর্ধিত হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের নবনির্বাচিত তৃণমূলের জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। এ জেলার হরিরামপুর দিয়ে শুরু হয়ে তার নির্বাচনী কেন্দ্র হিলি সীমান্তে যাত্রা পথে উৎসাহী কর্মী-সমর্থকের ভিড়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে শঙ্করবাবু কয়েকবার গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় হাঁটেন। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘আমি সকলকে নিয়ে চলতে চাই। দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আপনাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’’
তবে শঙ্করবাবুকে শুভেচ্ছা জানাতে বিদায়ী তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের অনুগামী কোনও নেতাকে এদিন দেখা যায়নি। কলকাতায় ব্যস্ত আছেন জানিয়ে বিপ্লববাবু কোনও মন্তব্যও করতে চাননি। তবে দলের অন্দরে বিপ্লববাবুর অনুগামী বলে পরিচিত তৃণমূল জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় বলেন, ‘‘দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে কলকাতা থেকে ফিরে বিপ্লববাবু কী বলেন, সেই দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। তারপরেই শুভেচ্ছা, সংবর্ধনার বিষয়টি আসবে।’’
দলীয় সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে গঙ্গারামপুর গার্লস হাইস্কুলে তাঁর অনুগামী নেতাদের বৈঠকের আলোচনার খবর পেয়ে তাঁদের সংযত হয়ে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন বিপ্লববাবু। গঙ্গারামপুরের ওই বৈঠকে জেলা সভাপতি বদলের দলনেত্রী মমতার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কতিপয় নেতার উত্তেজক কথাবার্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাপতি। উপরন্তু, আজ, ১২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় প্রতিটি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে দলনেত্রী বৈঠক করবেন।
এ দিন সকালে মালদহ স্টেশন থেকে গাড়ি করে বালুরঘাটের দিকে আসার পথে জেলার দেওতলা থেকে বংশীহারির দৌলতপুর ও বুনিয়াদপুরে থেমে শুভেচ্ছা, সংবর্ধনা নিয়ে গঙ্গারামপুর শহরে ঢোকার মুখে শঙ্করবাবুকে থমকে যেতে হয়। পুণর্ভবা সেতু থেকে উচ্ছ্বসিত কর্মী সমর্থকদের থিকথিক ভিড়ে আটকে যান তিনি। গাড়ি থেকে নেমে নতুন জেলা সভাপতি রাস্তায় হেঁটে এগিয়ে যেতে থাকেন। ততক্ষণে উপচে পড়া ভিড় জানিয়ে দেয়, তারা খুব খুশি। কালীতলা এলাকার সেতু থেকে গঙ্গারামপুরের চৌপথী মোড় পেরিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তায় তাঁর সঙ্গে পা মেলায় জনতা। এরপর পতিরাম, পাগলিগঞ্জ হয়ে বালুরঘাট এবং কামারপাড়া, পাঞ্জুল হয়ে হিলির ঘাসুরিয়া এলাকায় দলীয় কার্যলয়ের সামনে শঙ্করবাবুকে ঘিরে চলে কর্মীদের আনন্দ উৎসব ও সংবর্ধনার পালা। অন্য দিন ওই সমস্ত দলীয় কার্যালয়ে বিপ্লব অনুগামীদের বসে থাকতে দেখা গেলেও এদিন তারা ছিলেন অনুপস্থিত। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘কেন তাঁরা এলেন না, বলতে পারব না। তবে আমি সকলকে নিয়ে চলতে চাই।’’
এর পর বালুরঘাট শহরের বাসস্ট্যান্ড মোড়ে ব্যস্ত রাস্তার উপর তৈরি ফুট ওভারব্রিজের উদ্বোধন করে পূর্তমন্ত্রী শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের কোনও জেলা শহরে এই প্রথম কলকাতার ধাঁচে রাস্তার উপর দিয়ে চলাচলের সুবিধার জন্য স্টিল-লোহার সেতু তৈরি হল।’’ বাসস্ট্যান্ডে অনবরত গাড়ি চলাচল ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সুবিধার জন্য মাত্র দু’মাসের মধ্যে ওই সেতুটি পূর্ত দফতর তৈরি করেছে। খরচ হয়েছে ৫২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy