তৃণমূলের পার্টি অফিস সরিয়ে চালু হল সরকারি দফতর। নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে শাসক দলের হাত থেকে ‘মুক্ত’ করে চালু করা হল ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিস। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকেরা দাঁড়িয়ে থেকে ওই অফিস চালু করা করেন। সেই সময় অবশ্য তৃণমূলের কেউ বাধা দিতে যাননি।
নিজস্ব ভবন তৈরি হওয়ার পরেও প্রায় দশ বছর ধরে গুড়িয়াহাটি পঞ্চায়েতের অফিসের মধ্যেই চলছি ভূমি রাজস্ব দফতরের কাজকর্ম। অভিযোগ ওঠে, সেই সুযোগে শাসক দল তৃণমূল ওই অফিস দখল করে। সেখানে বসেই পার্টির কাজকর্ম পরিচালনা করতেন নেতারা। ভূমি রাজস্ব দফতরের কোচবিহার ১ ব্লকের আধিকারিক দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার বাসিন্দারা সকলেই সহযোগিতা করেছেন। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা করা হয়।” শাসক দলের কোচবিহার ১ ব্লকের সভাপতি খোকন মিয়াঁ অবশ্য বলেন, “ওই অফিস দলের তরফে কেউ দখল করে রাখেনি। অফিসটি পড়ে ছিল। স্থানীয় যুবকরা সেখানে ক্যারাম খেলত। বিরোধীরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। এ দিন অফিস চালু হয়েছে। আমরা খুশি।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবার ওই ঘটনার খবর প্রকাশ হওয়ার পরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অফিস চালুর কথা জানানো হয়। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা বলেন, “বহুদিন ধরে শাসক দল সরকারি ওই অফিস দখল করে রেখেছিল। অনেক আগেই এই ব্যবস্থা নেওয়া যেত।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কিন্তু কী কারণে এত দিন ধরে ওই অফিস চালু করা হয়নি তাও খতিয়ে দেখা দরকার।”
রাজস্ব দফতর সূত্রের খবর, শুরু থেকেই গুড়িয়াহাটি ১ পঞ্চায়েতের ভিতরেই চলছে রাজস্ব পরিদর্শকের করণ। প্রায় দশ বছর আগে বাম আমলে পঞ্চায়েত অফিসের পাশেই ভূমি রাজস্ব দফতরের নিজস্ব পরিকাঠামো তৈরি করা হয়। তখন থেকে সেটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। বাসিন্দা তথা শাসক দলের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অফিসটি অব্যবহৃত অবস্থায় থাকায় তা নষ্ট হতে থাকে। দরজা, জানালা ভেঙে যায়।
বিরোধীদের অভিযোগ, গত বছর শাসক দলের পক্ষ থেকে ওই অফিস দখল করে নেওয়া হয়। তা নিয়ে অভিযোগ উঠলে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নিয়ে ওই অফিস দখলমুক্ত করা হলেও ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিস চালু হয়নি। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “অব্যবহৃত থাকাতেই সেটি দখল হয়ে যায়। অনেকে ভেবেছিলেন সেখানে অফিস হবে না। এ বারে তা হল। আর বন্ধ হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy