ফাঁসিদেওয়া ও বাগডোগরায় মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। —নিজস্ব চিত্র।
আচমকা দার্জিলিং জেলার সমতলের শিলিগুড়ির দুটি ব্লকের একাধিক প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিং থেকে বাগডোগরায় হয়ে কলকাতা যাওয়ার পথে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নকশালবাড়ি ব্লকের লোয়ার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের দুটি প্রকল্প ঘুরে দেখেন। তার পরে ফাঁসিদেওয়ার ফুলবাড়ি ব্যারেজে যান। সেখানকার প্রস্তাবিত পযর্টন প্রকল্প নিয়ে কথাবার্তা বলে এলাকাটি ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে বিমানবন্দরে চলে যান।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, দুটি ব্লকের প্রকল্পগুলি দেখে কিছু নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। সেই সঙ্গে তিনি শিলিগুড়ির মহকুমা শাসককে কিছু রিপোর্ট তৈরি করে কলকাতায় পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন। মহকুমা শাসক দীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘‘মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের বিমান ধরার আগে কিছু সময় ছিল। সেই মত তাঁরা কিছু প্রকল্পের কাজ দেখবেন বলে জানিয়েছেন। দুটি ব্লকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কাজগুলি দেখে তাঁরা প্রয়োজনীয় কিছু নির্দেশও দিয়েছেন।’’
এর আগে গত মে মাসে মুখ্যমন্ত্রীর নেপালে ত্রাণ দিতে আসার সময় মুখ্যসচিব কলকাতা ফেরার আগে ফাঁসিদেওয়া ব্লক হাসপাতাল লাগোয়া শিশুদের পুষ্টিকেন্দ্র ‘পরশ’-এ গিয়েছিলেন। কেন্দ্রটি দেখে সেটির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কী কী করণীয় তা প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই কাজও চলছে। সেই সময়ও তাঁর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন।
এদিন বিকালে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফেরেন। খাপরাইলের রাস্তা দিয়ে মাটিগাড়া যাওয়ার আগে হিমূলের সামনে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ান। সেখানে হিমূলের কর্মীরা তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা দিয়ে হিমূলের বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেন। বিষয়গুলি তিনি জানেন বলে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগেই দুই সচিব প্রকল্পগুলি দেখে অন্য বিমানে কলকাতায় চলে যান।
সরকারি সূত্রের খবর, গত বুধবার বেশি রাতেই মুখ্যসচিব মহকুমা শাসককে ডেকে সমতলের বিভিন্ন প্রকল্প দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ১০০ দিনের কাজ এবং ফুলবাড়ি পর্যটন প্রকল্পটি ঘুরে দেখার কথা জানান। সেই মতন ফাঁসিদেওয়া এবং নকশালবাড়ি ব্লক প্রশাসনকে তৈরি থাকতে বলা হয়।
লোয়ার বাগডোগরায় বাতলাবাড়ি এবং রূপসিং এলাকায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুটি বড় মাটির রাস্তার কাজ চলছে। প্রথম রাস্তাটি বাতলাবাড়ি থেকে রাধাজোতের মধ্যে সংযোগকারী রাস্তা হিসাবে তৈরি হচ্ছে। অন্যটি রূপসিংহ গ্রামের অন্যতম মূল রাস্তা হিসাবে কাজ করবে। নকশালবাড়ির বিডিও কিংশুক মাইতি বলেন, ‘‘দুটি রাস্তায় প্রায় ১৭ হাজার এবং ১৫ হাজার শ্রমদিবস দিয়ে তৈরি হচ্ছে। মাটি ফেলে রাস্তার ধারে পাথরের গার্ড ওয়াল বানিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। কাজ চলছে। মুখ্যসচিব কাজের বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন। লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেছেন।’’
এর পরে দুই সচিব ফুলবাড়ি ব্যারেজ এলাকায় যান। সেখানে পরিযায়ী পাখিদের দেখার জন্য একটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরির প্রস্তাবিত প্রকল্পে সংযোজনের নির্দেশ দেন। বিডিও জানান, এ ছাড়া ব্লকে সেচ দফতরের ৩ একরের মত একটি খালি জমি রয়েছে। সেখানে স্থানীয় মহিলাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য কেন্দ্র তৈরির কথাও মুখ্যসচিবকে বলা হয়েছে। উনি সেটিরও কাগজপত্র চেয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy