দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম, বনবস্তি ও চাবাগান এলাকার কিশোর কিশোরীদের ভিনরাজ্যে পাচারের একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে ডুয়ার্সে। বুধবার সন্ধ্যায় শামুকতলা থানার পুলিশ পাচারকারী সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পর বিষয়টি ফের সামনে এসেছে। ওই পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ কিশোরকে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, শামুকতলা থানার কার্তিক চা বাগান ও তুরতুরি গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর পরিবারের ওই কিশোরদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভিনরাজ্যে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। ধৃতদের নাম রাজু টপ্পো, বিক্রম প্রসাদ ও সাধন রায়। এর মধ্যে প্রথমজন কার্তিক চা বাগানের বাসিন্দা। বাকি দুজনের বাড়ি শামুকতলার বাজার এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে রাজু টপ্পো কে এজেন্ট হিসাবে কাজে লাগাত পাচারকারিরা। পুলিশ জানিয়েছে, গত ছয় মাসে আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন থানায় কিশোর কিশোরী নিখোঁজের অন্তত ১৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্তে নেমে পাচার হওয়া বেশ কয়েকজন কিশোর কিশোরীকে কে পুলিশ উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলেও দিয়েছে। গত সপ্তাহে শিলিগুড়ির খালপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এক তরুণীকে উদ্ধার করে শামুকতলা থানার পুলিশ।
শামুকতলা থানার ওসি বিনোদ গজমের জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে বুধবার আলিপুরদুয়ারগামী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে তিন পাচারকারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ কিশোরকে। তাঁদের দিল্লী পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। তিনি বলেন, “গ্রামবাসীদের বারবার বলা হয়েছে ছেলে মেয়েদের ভিন রাজ্যে কাজে পাঠালে থানায় তা জানাতে। এই নিয়ে পুলিশ বেশ কয়েকবার সচেতনতা শিবিরও করেছে। কিন্ত সেই নির্দেশ মানছেন না কেউই। নারী পাচার রোধে লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। ফের সচেতনতা শিবিরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।” পাচার রুখতে এই এলাকায় লাগাতার কাজ করে যাচ্ছে দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রাম বিকাশ সমিতি। সংগঠনের সভাপতি প্রীতীশ কর্মকার বলেন, “প্রত্যন্ত গ্রাম,বনবস্তি ও চা বাগান এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক বিকাশ না হলে এই প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। এ ব্যাপারে আমরা নিয়মিত সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করছি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের কাজও চলছে।”
আলিপুদুয়ার ২ এর বিডিও পাচারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, এলাকার মানুষের আর্থিক হাল ফেরাতে একশো দিনের কাজের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy