ধৃত: পুলিশের হাতে ডাকাতির পান্ডা চন্দন। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় দুমাস আগে মানিকচকের একটি পেট্রল পাম্পে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের সামসি স্টেশনের বাইরে থাকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম চন্দন কর্মকার (৩৫)। তাঁর বাড়ি পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়িতে।
শুক্রবার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ জানান, মানিকচকের পেট্রল পাম্পে ডাকাতির ঘটনার মূল পাণ্ডা চন্দনই। তাঁর কথায়, ধৃত একজন কুখ্যাত ডাকাত। সে শুধু মালদহেই নয় পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরেও একাধিক সোনার দোকানে ডাকাতি-সহ পাশের জেলা বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত। প্রায় ৫০ জনের দলকে সংগঠিত করে সে ডাকাতি করত। প্রাথমিকভাবে জেরায় সে সে সব কথা স্বীকারও করেছে। ধৃতকে শুক্রবার মালদহ সিজেএমের এজলাসে তোলা হলে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আজ তাকে ফের আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মানিকচকের একটি পেট্রল পাম্পে মোটরবাইকে করে তেল ভরার নাম করে কয়েকজন আসে এবং তারপর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পাম্পে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বিহার থেকে একজন ও মানিকচকের তিন জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদেরই কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে মূল পাণ্ডা চন্দন কর্মকারের নাম। জেলা পুলিশের তরফে তাঁর খোঁজে একটি বিশেষ দলও গড়া হয়। সেই দল চন্দনের খোঁজে তামিলনাড়ু, ওড়িশা, বিহারেও যায়। কিন্তু হদিস করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় যে মালদহেরই সামসি স্টেশন চত্বরে সে রয়েছে এবং তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ২০১৫ সালে ভরসন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে একটি সোনার দোকানে বোমাবাজি করে প্রায় সাড়ে সাত কেজি সোনা লুঠ করা হয়, পরের বছর ওই জেলারই কুশমণ্ডিতে আরও একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে এক কেজি সোনা ও ২৫ কেজি রূপো লুঠ করা হয় চন্দনের নেতৃত্বে। ২০১৩ সালে মালদহের মিলকিতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সেই দলবল নিয়ে ডাকাতি করে প্রচুর সোনা ও টাকা লুঠপাট করে. এছাড়া বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও বেশ কয়েকটি ডাকাতি করে সে। কিছুদিন আগে কাটিহারের একটি মামলায় সে সেখানকার জেলেও ছিল। প্রায় চার মাস আগে সে জামিন পায় ও ফের একাধিক ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy