চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। প্রতীকী চিত্র।
। সন্দীপ চন্দ নামে ওই যুবক সায়ন্তনী কর্মকার নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। সন্দীপের দাবি, সায়ন্তনী ভুয়ো চিকিৎসক। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা সেই অভিযোগ পাওয়ার পরে সায়ন্তনীদেবীকে ফোন করেন বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। সায়ন্তনীদেবীর দাবি, পুলিশের সঙ্গে দেখা করে তিনি বুঝতে পারেন, সন্দীপ তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। সেই মতো তিনি সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তারপরে সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপের বাড়ি আসানসোলে। তবে তিনি জলপাইগুড়ির সেবাগ্রামে ভগ্নীপতি নন্দন রায়ের বাড়িতে থাকতেন৷ ওই এলাকাতেই সায়ন্তনীর বাবার বাড়ি৷ সায়ন্তনী ময়নাগুড়ির একটি চশমার দোকানে পাওয়ার দেওয়ার কাজ করতেন৷ সে জন্য একটি বেসরকারি কলেজ থেকে কোর্সও করেছেন তিনি৷ তবে কনট্যাক্ট লেন্সের উপর কলকাতায় একটি কোর্স করার জন্য মাস ছয়েক ধরে নিজের পেশা বন্ধ রেখেছেন তিনি৷
সায়ন্তনী জানান, জলপাইগুড়িতে গেলে পুলিশ তাঁকে তাঁর নামে লেখা একটি প্রেসক্রিপশনও দেখায়৷ কিন্তু সায়ন্তনীর অভিযোগ, সেই প্যাডে তাঁর নামের বানান ভুল৷ ফোন নম্বরটিও ভুল৷ এমনকি প্যাডের লেখা ও সইও যে তাঁর নয় সে ব্যাপারে পুলিশকে বেশ কিছু প্রমাণ দেন তিনি৷ সেই সঙ্গে সন্দীপ ও নন্দনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ, জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই গৃহবধূকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন সন্দীপ ও নন্দন৷ সে জন্যই তার বিরুদ্ধে ভুয়ো চিকিৎসকের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়। সায়ন্তনীর অভিযোগ, জমি বিক্রি করতে তাঁর মায়ের উপর চাপ দিচ্ছিলেন সন্দীপের ভগ্নীপতি নন্দন৷ দুই কাঠা জমিতে একটি মোবাইলের টাওয়ারও বসাতে চেয়েছিলেন তিনি৷ সায়ন্তনীর অভিযোগ, ‘‘আমার মা তাতে আপত্তি তুলেছিলেন৷ সে জন্যই নন্দন ও সন্দীপ যোগসাজস করে এই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আমাদের গোটা পরিবারকে অপদস্থ করতে চেয়েছিল৷’’
সন্দীপের অভিযোগ, ওই বধূ নিজের বাড়িতে তাঁর চোখের চিকিৎসা করেছিলেন৷ এবং চোখ ভাল না হওয়াতে তিনি খোঁজখবর করে জানতে পারেন সায়ন্তনী চিকিৎসক নন৷ তাই অভিযোগ দায়ের করেন৷
যদিও পুলিশ তার দাবি মানতে নারাজ৷ তদন্তকারী অফিসারদের বক্তব্য, প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছেন, ওই গৃহবধূর নামে জাল প্রেসক্রিপশন তৈরি করেছে যুবক৷ জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ধৃত যুবকের ভগ্নীপতিরও খোঁজ চলছে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy