পাকড়াও: এনজেপি থানায় অভিনন্দন। নিজস্ব চিত্র
অবশেষে স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিনন্দন সাহাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে স্টেশন ফিডার রোডের নার্সিংহোম থেকে অভিনন্দন ছুটি পেতেই তদন্তকারী অফিসারেরা তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে সোজা এনজেপি থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে টানা জেরা করেন। তার পরেই এই গ্রেফতারি।
পুলিশ সূত্রের খবর, বয়ানে অসঙ্গতি বা তাঁর নিজের জখম নিয়ে সংশয় তো আছেই, তা ছাড়া ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে পুলিশের সন্দেহ রয়েছে। তেমনই, নানা মামলায় অভিযুক্ত এক যুবকের সঙ্গে অভিনন্দনের সম্প্রতি ওঠাবসা নিয়েও পুলিশে কাছে কিছু তথ্য রয়েছে। তেমনই, আঙুলের ছাপের বিশেষজ্ঞদের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে অভিনন্দনের ভূমিকা সন্দেহ বাড়িয়েছে।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার নীরজকুমার সিংহ বলেন, ‘‘ওই ব্যবসায়ীর বয়ানে নানা অসঙ্গতি রয়েছে। সমস্ত কিছু ভাল করে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিনন্দন কয়েক দফায় ডাকাতির চেষ্টা, হামলার কথা শোনালেও তাতে অনেক ফাঁক রয়েছে। কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদের জেরে কান্নায় ভেঙেও পড়েছেন অভিনন্দন। সেই রাতের ঘটনার অনেকটাই তিনি চেপে যাচ্ছেন বলে অফিসারদের অনুমান। রাতে বিভিন্ন পদস্থ কর্তারাও থানায় পৌঁছেছেন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীর সঙ্গে অভিনন্দনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। তার জেরেই পাঁচকেলগুড়ির বাড়িতে ওই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে। আর সেই সময় ছোট মেয়ে পায়েল তা দেখে ফেলায় তাকেও খুন করা হয়েছে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।
এ দিনই বিকালে এনজেপি পাঁচকেলগুড়িতে মহিলারা জোড়া খুনের ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে মিছিল করেন। বিভিন্ন এলাকায় নাগরিকবৃন্দের নামে ফ্লেক্স পড়ছে।
রীতার পরিবারের তরফে এ দিনও ফের দাবি করা হয়েছে, তাঁদের জামাই অভিনন্দনই এই ঘটনার পিছনে রয়েছে। তাঁদের সন্দেহ, যৌতুক নিয়ে নতুন করে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন অভিনন্দন। ব্যবসা আরও বাড়ানো বা কোনও ঋণ শোধ করার জন্যই অভিনন্দন তা করতে চেয়েছিলেন বলে ধারণা। স্ত্রীকে ডির্ভোস দেওয়ার চেষ্টাও অভিনন্দন করেছিলেন। সেখানে রীতা টাকা, বাড়ি দাবি করায়, তিনি খুনের গল্প সাজিয়েছিলেন কি না, তা অফিসারেরা খতিয়ে দেখুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy