Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকে বোল তুলে পুজো শুরু মিমির

মিমি এখন কলকাতাতেই থাকেন, কিন্তু তিস্তাপাড়ের এই জলপাইগুড়িতেই জন্ম, বড় হওয়া৷ পড়াশোনা করা, তাই তা ভুলতে পারেন না। পাড়ার কালীপুজোয় সেই মিমি আসবেন জেনে অনেকেই পাণ্ডাপাড়া কালীবাড়ি এলাকায় ভিড় করেন৷

পুজোর উদ্বোধনে মিমি চক্রবর্তী। ছবি: সন্দীপ পাল

পুজোর উদ্বোধনে মিমি চক্রবর্তী। ছবি: সন্দীপ পাল

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৮:২০
Share: Save:

ঘরের মেয়ে ঘেরে ফিরেছে৷ তাকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে এতটুকুও কমতি তো নেই-ই, বরং মাত্র ১২ মিনিটের জন্য সঙ্গে পেয়ে ওই টুকু সময়েই তাকে ঘিরে উৎসবে মাতল জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়া৷ রবিবার জলপাইগুড়ি পাণ্ডাপাড়া কালীবাড়ি নবীন সঙ্ঘ ও পাঠাগারের কালীপুজোর খুঁটি পুজো অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই পুজোর সূচনা করেন টলিউডের নায়িকা মিমি চক্রবর্তী৷

মিমি এখন কলকাতাতেই থাকেন, কিন্তু তিস্তাপাড়ের এই জলপাইগুড়িতেই জন্ম, বড় হওয়া৷ পড়াশোনা করা, তাই তা ভুলতে পারেন না। পাড়ার কালীপুজোয় সেই মিমি আসবেন জেনে অনেকেই পাণ্ডাপাড়া কালীবাড়ি এলাকায় ভিড় করেন৷ স্কুলের মাঠে ভিড় জমান এলাকার মানুষ৷

দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ দুধ সাদা ইনোভা গাড়িটি মাঠের সামনে দাঁড়াতেই হইচই শুরু হয়। মিমি গাড়ি থেকে নামার পর তাঁকে নিয়ে মাঠে ঢুকতে রীতিমত নাজেহাল হতে হয় পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের৷ কেউ বা চাইছেন তার সঙ্গে একটি সেল্ফি তুলতে৷ কারও আবার আবদার অটোগ্রাফের৷ তবে সামান্য সময়ের জন্য থেকেও কারও কারও ইচ্ছা পূরণ করলেন অভিনেত্রী৷ ভিড় ও ধাক্কাধাক্কির মাঝেই ক্লাবের তরফে মিমিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ স্থানীয় ভলিবল একাডেমির মেয়েরাও তাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান৷

এরপর ঢাকে বোল তুলে খুঁটি পুজোর সূচনা করেন মিমি৷ পরে যাওয়ার আগে মাইক হাতে পাড়ার বড়দের প্রণাম ও ছোটদের ভালবাসা জানাতেও ভোলেননি তিনি৷ মিমি বলেন, ‘‘ছোট বেলায় বহুবার এই পুজো দেখতে এসেছি৷ অনেক ক’বছর পর পাড়ার কালীপুজোর খুঁটি পুজোতে আসতে পেরে খুবই ভাল লাগছে৷’’

পাণ্ডাপাড়া কালীবাড়ি নবীন সঙ্ঘ ও পাঠাগারের সম্পাদক অভিজিৎ দাস বলেন, ‘‘পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মিমি এখানে এসেছে শুনতে পেরে শনিবার রাতে যোগাযোগ করে ওকে খুটি পুজোয় যোগ দিতে বলি৷ মিমি এককথায় রাজি হয়ে যায়৷’’

পাড়ার অনেকেও খুশি। প্রবীণেরা বলেন, পাশের বাড়ির মেয়ে যদি সফল হন, তাহলে তাঁকে তো আশীর্বাদ করতেই হবে। মিমির সিনেমাও তাঁরা দেখতে যান।

ওই পাড়ারই বাসিন্দা গৃহবধূ সঙ্গীতা দাস বলেন, ‘‘অভিনেত্রী হলেও মানুষ হিসাবে এতটুকুও পাল্টায়নি মিমি৷ এদিনও দেখা হওয়ার পরই আমায় বলছিল, বুড়িমাসি কেমন আছ?’’ তবে পাণ্ডীপাড়া কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মণীষা সরকার আবার খুশি, এই প্রথম মিমিকে সামনে থেকে দেখতে পাওয়ায়৷ ক্লাব কর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বছর তাদের কালী পুজোর ৫০ বছর পূর্তি৷ তাই পরের বছরও মিমিকে পুজোয় নিয়ে আসতে চান তাঁরা৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE