সফর: দার্জিলিঙের অন্যতম আকর্ষণ। ফাইল চিত্র
ফের বিপত্তি টয়ট্রেনে। মঙ্গলবার দুপুরে ট্রেনের ইঞ্জিন বিগড়ে যাওয়ায় মাঝপথেই পর্যটদের নেমে যেতে হয়েছে।
কার্শিয়াং ও টুঙের মাঝে একটি জায়গায় কয়লার ইঞ্জিনে টানা চার্টার্ড ট্রেনটি থেমে যায়। জলের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ইঞ্জিন থেমে গিয়েই এই বিপত্তি। পাইপ জোগাড় করে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ততক্ষণে ইঞ্জিনের আরও কিছু যন্ত্র বিগড়ে যাওয়ায় ট্রেন আর এগোতে পারেনি।
টয়ট্রেন দেরিতে চলাচল করছে বলে অভিযোগ জানিয়ে গত সপ্তাহে রেলমন্ত্রীকে ট্যুইট করেছিলেন এক পর্যটক। ট্যুইটের ধাক্কায় টয়ট্রেনের চলাচল, রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন জানতে চেয়েছে রেলবোর্ড। এ দিনের ঘটনায় ফের টয়ট্রেনের টিকিট কেটে নাকাল হতে হল পর্যটকদের।
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং এবং ফিরতি পথে এখন সপ্তাহে তিন দিন টয়ট্রেন চলাচল করে। যাত্রিবাহী ট্রেনটিকে ডিজেল ইঞ্জিন টেনে নিয়ে যায়। যে ট্রেনে বিপত্তি হয়েছে সেটি বিশেষ অনুমতি নিয়ে একদল পর্যটক ভাড়া করেছিলেন। কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ভাড়া করা ট্রেনটি দুপুরে ছাড়ার কথা ছাড়তে ছাড়তে হয়ে যায় বিকেল তিনটে। টুঙের কাছে পৌঁছে ট্রেনটি থেমে যায়। কয়েক জন যাত্রী খোঁজ নিলে তাঁদের জানানো হয়, ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা হয়েছে। দ্রুত ট্রেন ছাড়বে। যদিও ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষার পরে ট্রেন আর এগোবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
কয়লার ইঞ্জিনে জল সরবরাহ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রা পথে অন্তত তিন-চারবার জল ভরা হয়। এই ট্রেনটিতে জল ভরার কোনও ব্যবস্থাই ছিল না বলে অভিযোগ। ইঞ্জিনের জল ফুরিয়ে যাওয়ার পরে কর্মীরা আশেপাশের এলাকা থেকে পাইপ সংগ্রহ করে আনেন। এই ঘটনাকে বড়সড় গাফিলতি বলে দাবি করছেন রেল কর্তাদের একাংশ। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের এরিয়া ম্যানেজার বিষয়টি পুরোপুরি জেনে মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে বারবার টয়ট্রেনে এমন গাফিলতিকে ক্ষুব্ধ পর্যটন ব্যবসায়ীরা। উত্তরবঙ্গের ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন এতোয়ার সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘টয়ট্রেনের টানে বহু পর্যটকরা আসেন। এর রক্ষণাবেক্ষণে আরও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy