নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকির টাকা জমা না পড়ায় উদ্বিগ্ন গ্রাহকরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দাদের একাংশ গত দুমাস থেকে ওই সমস্যার জেরে নাকাল হচ্ছেন। গ্রাহকদের অভিযোগ, ভর্তুকি সিলিন্ডার ৭১০ টাকা দিয়ে কিনে পরে ভর্তুকি বাবদ প্রায় ৩০০ টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। রান্নার গ্যাসের স্থানীয় ডিলারের কাছে গেলে তারা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই এর জন্য দায়ী করছেন। আবার ব্যাঙ্কের শাখায় যোগাযোগ করলে তাঁরা ডিলারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। দুই জায়গায় ঘুরেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের মধ্যে।
বালুরঘাটের রান্নার গ্যাস ডিলার কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, আধার কার্ডধারীদের ক্ষেত্রে ওই সমস্যা নেই। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে গ্রাহকদের গ্যাসের বইয়ের নম্বর এবং আধার কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে অনলাইনে তথ্য জমা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে লিংক হয়ে যাচ্ছে। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা ঢুকে যাচ্ছে। কিন্তু যাঁদের আধার কার্ড হয়নি। তাদের ব্যাঙ্ক আকাউন্ট নম্বর দিয়ে অনলাইনে তথ্য দিলেও তা সক্রিয় হচ্ছে না। ফেরত চলে আসছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। অথচ আধার কার্ড ছাড়াও শুধু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও গ্রাহকেরা রান্নার গ্যাসে ভর্তুকির টাকা পাবেন বলে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরের সিদ্ধান্ত।
এ ব্যাপারে ইন্ডেন গ্যাস কর্তৃপক্ষের দাবি, অনলাইনে গ্রাহকের তথ্য জানানোর পর সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কাছে ওই অ্যাকাউন্টের বিষয়ে যাচাই করা হয়। কিন্তু ব্যাঙ্কের তরফে তা জানানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। তাই ওই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত মার্চের পর থেকে ওই সমস্যা চলছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
শহরের প্রাচ্যভারতী এলাকার বাসিন্দা পেশায় দোকান কর্মী উজ্জ্বল সরকার, সাইকেল মিস্ত্রি মিঠু রায়ের অভিযোগ, শহরের বাজারপাড়া এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি হচ্ছে। গ্যাস ডিলারের মাধ্যমে অনলাইনে তথ্য নথিভুক্ত করার পরে দুমাস কেটে গেলেও ভর্তুকির টাকা মেলেনি। এ সম্পর্কে বালুরঘাটের লিড ব্যাঙ্ক অফিসার অভয় সিংহ বলেন, ‘‘এই ধরণের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বালুরঘাট শহরে রান্নার গ্যাস ডিলার সংস্থা রয়েছে দুটি। গ্রাহকের সংখ্যা ৪৮ হাজারের উপরে। তারমধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ গ্রাহক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভর্তুকির টাকা পাচ্ছেন। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশের আধার কার্ড রয়েছে। যাদের আধার কার্ড নেই সেই সমস্ত গ্রাহকদের ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা জমা পড়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy