• ভাঙন: মিরিকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র
পুরভোট ঘোষণা হয়নি এখনও। তার আগে চার দিন ধরে পাহাড়ে ঘাঁটি গেড়ে থেকে রণকৌশল সাজানোর পর ফেরার দিনেও মোর্চার এক প্রথম সারির নেতাকে দলে টানলেন তৃণমূলের দার্জিলিঙের পর্যবেক্ষক, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
বুধবার মিরিকে দলীয় অফিসে গিয়ে অরূপবাবুর উপস্থিতিতে তৃণমূলে সামিল হন মোর্চার প্রবীণ নেতা মোহনকুমার জিম্বা। সঙ্গে সামিল হন তাঁর কয়েকশো অনুগামী। তাতেই ৯ আসনের মিরিক পুরসভা দখলের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে তৃণমূল। দলের দার্জিলিঙের পর্যবেক্ষক অরূপবাবু বলেন, ‘‘পাহাড়েও এ বার পরিবর্তন আসবে। সে জন্য বদলের অভিযানে সামিল হতে চাইছেন অনেকেই।’’
এই ঘটনাকে হালকা ভাবে দেখছে না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কারণ, জিম্বা দীর্ঘদিন মিরিক পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। এলাকায় তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। উপরন্তু, কিছুদিন আগেই মিরিক পুরসভার একাধিকবারের চেয়ারম্যান এল বি রাইও সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই কেন পুরভোটের মুখে পাহাড়ের নানা এলাকা থেকে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ দল ছাড়ছেন তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাহাড়ের মোর্চা নেতাদের একাংশ। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের অন্য অংশ অবশ্য দলত্যাগীদের বেশির ভাগকেই ‘সুবিধাভোগী ও দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে কটাক্ষ করেছেন। যেমন, মোর্চা নেতা তথা জিটিএ সদস্য অরুণ ঘিসিঙ্গ অভিযোগ করেছেন, ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন ঠিকঠাক কাজ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে আঁচ করে জিম্বা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির ওই নেতা বলেন, ‘‘এতে ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
তৃণমূল শিবির পুরসভা দখলের স্বপ্ন দেখলেও মেপে পা ফেলতে চাইছে। দল সূত্রের খবর, আগামী ২৮ মার্চ দার্জিলিঙে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চার দিন পাহাড়ে থাকবেন। তার মধ্যে মিরিকে এক দিন অনুষ্ঠান হবে। এক দিন দার্জিলিঙে প্রশাসনিক বৈঠক হওয়ার কথা। ৩১ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফিরবেন। দলনেত্রী পৌঁছনোর আগেই পরিস্থিতি আঁচ করতে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন অরূপবাবু। আজ, বৃহস্পতিবার দলনেত্রীর কাছে পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার কথা তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy