ধৃত: রাহুল সরকার। নিজস্ব চিত্র
বাবা থেকে শুরু করে জ্যাঠা-কাকা, এমনকী মামাও পুলিশ কর্মী৷ অভিযোগ, এরই জেরে এলাকায় কাউকে পরোয়া করতো না রাহুল সরকার৷ কখনও একা কখনও সঙ্গীদের নিয়ে মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে তার এই কুকীর্তির জন্য মণ্ডলঘাটের কাদোবাড়িতে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় আপাতত পুলিশের হাতে ২১ বছরের ওই যুবক৷ বৃহস্পতিবার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ওই যুবকের বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ ঘটনা অস্বীকার করেছে।
বুধবার দুপুরে নিজের বাড়িতে গলায় কাপড় জড়িয়ে আত্মহত্যা করে জলপাইগুড়ির মণ্ডলঘাটের বাসুদেব গার্লস স্কুলের এক ছাত্রী৷ ছাত্রীর জ্যাঠা অভিযোগ করেন, অনেকদিন ধরেই রাহুল তাঁর ভাইঝিকে উত্যক্ত করত৷ তাকে সতর্ক করা হলেও কাজ হয়নি৷ বুধবার স্কুলের কাছেই রাহুল ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ৷ ওই ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে এসে আত্মহত্যা করে বলে তার পরিজনেরা জানান৷
ছাত্রীর বাড়ির লোকেরা বুধবার রাতেই রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন৷ এ দিন মাটিগাড়ায় তার মামা বাড়ি থেকে রাহুলকে ধরে পুলিশ৷ রাহুলের বাবা ভক্তিনগর থানার কনস্টেবল৷ তার জ্যাঠা ও কাকাও পুলিশ কর্মী৷ এ দিন যে মামার বাড়ি থেকে রাহুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনিও পুলিশ কর্মী৷ পুলিশেরই একাংশের বক্তব্য, পরিবারের এতজন পুলিশে চাকরি করায় কিছুর পরোয়া করত না রাহুল৷
ঘটনায় রাহুলের সঙ্গীদেরও গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন কাদোবাড়িতে পথ অবরোধ করেন বাসিন্দারা৷ তাঁদের অভিযোগ, মেয়েদের উত্যক্ত করায় এর আগেও রাহুলের কয়েকজন সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ কিন্তু তবু ওরা দমেনি৷ তবে গ্রেফতারের পর রাহুল অবশ্য দাবি করে, তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় তার বাবা-মা বাড়িতে বকাবকি করেছে। সে জন্যই ছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে৷ এ দিন রাহুলকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখা নির্দেশ দেন৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy