Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

চেয়ারপার্সন ভূষণ, বাম কাউন্সিলরকে ‘অপহরণ’

রমাপতিবাবুর অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁকে গাড়িতে তুলে আলিপুরদুয়ারের একটি হোটেলে নিয়ে আটকে রাখা হয়। মঙ্গলবার চেয়ারপার্সন পদে ভূষণ সিংহ নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি।

সংবর্ধনা: চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার পর। —নিজস্ব চিত্র।

সংবর্ধনা: চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার পর। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৭ ০২:৪৫
Share: Save:

তিনি নাকি এক সময় ত্রাস ছিলেন। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। আর তাঁর অনুগামীরা বলছেন, ‘দাদা প্রতিবাদী’। সেই ‘দাদা’ ই এ বার কোচবিহার পুরসভার এক নম্বর নাগরিক। মঙ্গলবার হাত তুলে ১১ জন কাউন্সিলর চেয়ারপার্সন হিসেবে বেছে নিলেন ভূষণ সিংহকেই।

তার আগে অবশ্য ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর রমাপতি গুপ্ত চৌধুরীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

রমাপতিবাবুর অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁকে গাড়িতে তুলে আলিপুরদুয়ারের একটি হোটেলে নিয়ে আটকে রাখা হয়। মঙ্গলবার চেয়ারপার্সন পদে ভূষণ সিংহ নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি।

বামেদের অভিযোগ, রমাপতিবাবু সভায় উপস্থিত থাকলে এবং নির্দল দুই কাউন্সিলর ভূষণবাবুকে সমর্থন না করলে ফলাফল অন্যরকম হত। তাঁদের আরও অভিযোগ, জোর খাটিয়ে আইন ভেঙে হাত তুলে ভোট করে চেয়ারপার্সন করা হয়েছে ভূষণবাবুকে। গোপন ব্যালটে ভোট হলে ভূষণবাবুর পক্ষে দাঁড়াতেন না তাঁর দলের কাউন্সিলররাই। ভূষণবাবু অবশ্য বলেন, “আইন মেনেই সব হয়েছে। স্বচ্ছ প্রশাসন উপহার দেব। পরিষেবার উন্নয়নই আমার প্রধান কাজ।” বামেদের চেয়ারপার্সন পদের প্রার্থী মহানন্দ সাহা বলেন, “মহকুমাশাসক সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। আমরা গোপন ব্যালটে ভোটের দাবি করলেও তা মানা হয়নি। আমরা আদালতে যাব।”

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “যেখানে আমাদের ১১ জন কাউন্সিলর, সেখানে বামেরা কী করবে। তাই লজ্জায় এখন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।” দলীয় সূত্রের খবর, পাঁচ বারের কাউন্সিলর ভূষণবাবু। এক সময় পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল হয়ে ভোটে জেতেন। সে সময় বামের সমর্থন পেতেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন।

সদ্য প্রাক্তন চেয়ারপার্সন রেবা কুন্ডুর বিরুদ্ধে প্রায় দু’কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে দল ভূষণবাবুকে সামনে নিয়ে আসে। তা নিয়ে দলের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। বামেদের দাবি, ভূষণবাবু ও তাঁর দল তৃণমূলকে অনেকেই ভয় পায়। তাই সামনে থেকে কেউ বিরোধিতা করার সাহস দেখাননি। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তারিণী রায় বলেন, “গোপনে ভোট হলে ফল পাল্টে যেত। সেটা বিলক্ষণ জানতেন বলেই আইন ভেঙে হাত তুলে ভোট করা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bhushan Sinha ভূষণ সিংহ
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE