Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নাম প্রত্যাহার করলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি প্রার্থীরা

বিজেপি-র প্রার্থী হতে না পেরে বিক্ষুব্ধ যাঁরা শিলিগুড়ি পুরভোটে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের একাংশ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন। শনিবার বিজেপি-র এমন বিক্ষুব্ধ চার জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। সেই সঙ্গে আরও ২ জন নির্দল প্রার্থী এ দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৫ ০১:২৬
Share: Save:

বিজেপি-র প্রার্থী হতে না পেরে বিক্ষুব্ধ যাঁরা শিলিগুড়ি পুরভোটে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের একাংশ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন। শনিবার বিজেপি-র এমন বিক্ষুব্ধ চার জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। সেই সঙ্গে আরও ২ জন নির্দল প্রার্থী এ দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।

শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসারের দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, যাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের পিঙ্কি শর্মা, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বজিৎ রায়, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের চয়নরঞ্জন গুহ, ৪৬ নম্বর ওয়াডের্র তিন জন বিশ্বজিৎ সাহা রায়, দেবেন্দ্রনাথ বর্মন এবং শ্যামল চন্দ্র রায়।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিদের মধ্যে দেবেন্দ্রনাথবাবু, বিশ্বজিৎ সাহা রায়, চয়নবাবু এবং পিঙ্কি দেবীর বিজেপি-র হয়ে প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা ছিল। কিন্তু দল তাঁদের টিকিট না দেওয়ায় নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। বিজেপি-র জেলা সভাপতি রথীন্দ্র বসু বলেন, “নির্দল হিসাবে আমাদের যাঁরা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের বোঝান হয়েছে। এর পরেই এ দিন চার জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।” বিশ্বজিৎবাবু, দেবেন্দ্রনাথবাবুরা জানান, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জন্য নির্দল হিসাবে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটেছে। তাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

অন্য দিকে কংগ্রেসের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বিমলেশ মৌলিকের প্রার্থী পদ খারিজ হয়ে যাওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস। এমনকী সিপিএমের তরফেও একই সূরে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, “দক্ষিণবঙ্গে অনেক জায়গায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে শাসক দল। আর যেখানে সেটা পারছে না সেখানে প্রশাসনকে কাজে লাগাচ্ছে। কংগ্রেসের বিমলেশবাবুর বিষয়টি তদন্ত করে দেখার দাবি জানাব। কেন না শুনেছি উনি পুরসভার বেতন পান না। কর আদায়ের ভিত্তিতে তার থেকে কমিশন পান। তাঁর মনোনয়ন বাতিল হবে কেন বুঝছি না। অথচ ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী মঞ্জুশ্রী পাল পুরসভার নথিভুক্ত ঠিকাদার সংস্থার অন্যতম শরিক ছিলেন। অভিযোগ ওঠার পর এক দিনেই তিনি কী ভাবে ওই সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসলেন তা স্পষ্ট নয়।” এ ব্যাপারে পুরসভার এক আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জীবেশবাবু। জীবেশবাবুর অভিযোগ, “ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। তাঁকে নির্বাচনের কোনও দায়িত্বে রাখা উচিত নয়।”

৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী গোলাপ রায়ের ব্যাপারে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

তাঁদের অভিযোগ, গোলাপ রায় বাল্মিকী বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা। স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন এবং সেখানে দায়িত্বে রয়েছেন। অথচ পরীক্ষা কেন্দ্রে হজিরা দিয়ে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি ছুটি নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে তৃণমূলের শিক্ষা সেল আন্দোলন শুরু করেছে। তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নেতা জয়ন্ত করের অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা-নেত্রী হাজিরা খাতায় সই করে পরে ছুটি নিয়ে মনোনয়ন জমা করতে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে অভিযোগ তোলায় প্রধানশিক্ষক তার নাম সাদা কালি দিয়ে মুছে দিয়েছে। গোলাপ রায় জানান, ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। মনোনয়ন জমা দিতে ছুটি নিতে হয়েছে। নিয়ম মেনেই কাজ করেছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনুপ দাস জানান, নিয়ম অনুসারে পরীক্ষার সময় স্কুলে এলে পরীক্ষা শেষ না হলে শিক্ষকরা কেউ বাইরে যেতে পারবেন না।

পর্ষদের সেই নিয়ম সকলকে জানানো হয়েছে। তার পরেও যখন গোলাপ রায় ছুটি নিতে চান তাকে জানাই একমাত্র শারীরিক অসুস্থতার কারণ হলেই ছুটি নিতে পারবেন। তিনি হাজিরা খাতায় সই করেই সেই মতো ছুটি নিয়ে চলে যেতে চান। তাই তার সই সাদা কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE