চিতাবাঘের চামড়া ও দেহাংশ পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল বিজেপির অসমের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সহ ন’জন। বন দফতরের বেলাকোবা রেঞ্জ ও স্পেশাল টাস্কফোর্স যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে আলিপুরদুয়ারের বারোবিশা থেকে তাদের গ্রেফতার করে৷
ধৃতদের এক জনের সঙ্গে গরুমারা গন্ডার নিধনের যোগও পেয়েছেন বনকর্তারা৷ বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে যে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছে তার নাম কর্নাবল মুশাহারি৷ সে অসমের কোকরাঝাড় জেলার মাথাইগাঁওয়ের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য৷ কর্নাবল ছাড়াও তার ছেলে গোনাইথি মুশাহারিকে গ্রেফতার করেছে বন দফতর৷
জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি অসমে। বাকি তিনজন জলপাইগুড়ি, দু’জন আলিপুরদুয়ার ও শেওয়াং নামগে নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভুটানের থিম্পুতে৷ বন দফতরের দাবি, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, এ দিন যে চিতা বাঘের চামড়া ও দেহাংশ পাওয়া যায় সেটিকে তারা তিন মাস আগে অসমের কচুগাঁও ডিভিশনের জঙ্গলে শিকার করে৷ উত্তরবঙ্গ বন বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল এম আর বালুচ বলেন, ‘‘এই চক্রটিকে ধরতে তিন দিন ধরে আমাদের অভিযান চলছে৷ আমাদের ধারণা চিতাবাঘটিকে মাস খানেক আগে শিকার করা হয়৷’
জানা গিয়েছে, চিতা বাঘের চামড়ায় দু’টি গুলির দাগও মিলেছে৷ বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চিতা বাঘের চামড়া ও দেহাংশগুলি ভুটানে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল৷ চামড়া ও দেহাংশ তাদের থেকে নেওয়ার কথা ছিল শেওয়াং নামগের৷ তবে তার আগেই তারা ধরা পড়ে যায়৷ বনকর্তারা জানান, এটি বন্য প্রাণীর দেহাংশ পাচারের আন্তঃরাজ্য চক্র৷
এই চক্রের নেতৃত্বে হরেন মোশাহারি৷ যার বাড়ি আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে৷ ধৃতদের জেরার পর এদের একজনের সঙ্গে গরুমারার গন্ডার নিধনের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে বন কর্তাদের দাবি৷
তাঁরা জানান, এ দিন গ্রেফতার হওয়া সকুরবেল ওরাওয়ের বাড়িতে গরুমারায় গন্ডার নিধনে যুক্ত চোরা শিকারী দলের পাঁচ-ছয়জন আশ্রয় নিয়েছিল বলে সে জেরায় জানিয়েছে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy