Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপির উস্কানি, অভিযোগ রবির

তিনি বলেন, “ক্যাম্পের বাসিন্দাদের হাজার স্কোয়ার ফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। এই সময় বিজেপি সুড়সুড়ি দিয়ে বাসিন্দাদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুনর্বাসনের কাজ ভেস্তে দেওয়াই ওদের লক্ষ্য।”

বিজেপি বাসিন্দাদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।—প্রতীকী চিত্র।

বিজেপি বাসিন্দাদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৭ ০৪:১৮
Share: Save:

বিজেপির বিরুদ্ধে সাবেক ছিটমহলের ক্যাম্পের বাসিন্দাদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুললেল উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ কোচবিহারের জেলাশাসকদের দফতরের মেখলিগঞ্জের সাবেক ছিটমহলের ক্যাম্পের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে বেরিয়েই এমন অভিযোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “ক্যাম্পের বাসিন্দাদের হাজার স্কোয়ার ফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। এই সময় বিজেপি সুড়সুড়ি দিয়ে বাসিন্দাদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুনর্বাসনের কাজ ভেস্তে দেওয়াই ওদের লক্ষ্য।” তিনি জানান, ক্যাম্পবাসীদের সঙ্গে কথা বলার জন্যে ২৬ জুন প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে মেখলিগঞ্জ যাবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী।

বিজেপি অবশ্য মন্ত্রীর অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছে। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে পাল্টা অভিযোগ করেন, মেখলিগঞ্জের পানিশালায় একটি প্রত্যন্ত এলাকায় নদীর ধারে ওই জমি কেনা হয়েছে। যেখানে ক্যাম্পের বাসিন্দাদের কেউই যেতে চাইছেন না। তাঁরা অনশনে নামলে পুলিশ তাঁদের উপরে লাঠিচার্জ করে। তিনি বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকায় জমি কেনা নিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়। না হলে এমন জায়গা পুনর্বাসনের জন্য কেউই বেছে নিতেন না।” বিজেপির অভিযোগ, ওই এলাকায় ১২ বিঘা জমি কেনা হয়েছে। সেখানে জমির দাম খুব বেশি হলে ৩ লক্ষ টাকা বিঘে। যে সময় জমি কেনা হয়েছে সেই সময় দাম আরও কম ছিল। ওই জমি ১১ লক্ষ টাকা করে বিঘে কেনা হয়েছে। মন্ত্রী অবশ্য দুর্নীতির প্রশ্নে বলেন, “ওই বিষয়টি আলাদা। পুনর্বাসন যাতে ঠিকঠাক হয় সেটা আমরা দেখছি।”

ছিটমহল বিনিময়ের পরে জেলার তিনটি জায়গায় তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে ভোটবাড়ি ক্যাম্পের বাসিন্দাদের জন্য পানিশালা এলাকায় ১২ বিঘা জমি কেনা হয়। সেখানে চারতলা অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করে বাসিন্দাদের হাজার স্কোয়ার ফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। সেই কাজও শুরু করা হয়েছে। তাতেই আপত্তি তুলে ক্যাম্পের বাসিন্দারা অনির্দষ্টকালের অনশনে বসেন। তিনদিনের মাথায় ওই কাজ বন্ধ করে বাসিন্দাদের দাবি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়। এ দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে সেখানে সেতু তৈরি করে পাকা সড়কের সঙ্গে দূরত্ব কমানো হবে। তৈরি করা হবে পাকা সড়ক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE