Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

এশিয়ান গেমসে সুযোগ পেয়ে চমকে দিয়েছেন জলপাইগুড়ির প্রত্যন্ত পাতকাটার বাসিন্দা অ্যাথলেটিক স্বপ্না বর্মন। এ বার তাঁর স্বপ্ন পদক জয়। বাবা পঞ্চানন বর্মন ভ্যানচালক। অসুস্থতার জন্য এখন কাজ করতে পারেন না। মা বাসনাদেবী চা বাগানে কাজ করতেন। এখন শ্রমিকের কাজ করেন।

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৪ ০১:২০
Share: Save:

স্বপ্নার স্বপ্ন এখন পদক

নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি

এশিয়ান গেমসে সুযোগ পেয়ে চমকে দিয়েছেন জলপাইগুড়ির প্রত্যন্ত পাতকাটার বাসিন্দা অ্যাথলেটিক স্বপ্না বর্মন। এ বার তাঁর স্বপ্ন পদক জয়। বাবা পঞ্চানন বর্মন ভ্যানচালক। অসুস্থতার জন্য এখন কাজ করতে পারেন না। মা বাসনাদেবী চা বাগানে কাজ করতেন। এখন শ্রমিকের কাজ করেন। গত ১৯ অগস্ট পাতিয়ালায় জাতীয় ফেডারেশন কাপ অ্যাথলেটিক্সে হেপ্টাথলনে স্বপ্নার সাফল্য তাঁকে ওই সুযোগ দিয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে স্কুল এশিয়াডে দুটি সোনা, ১টি রুপো এবং ১টি ব্রোঞ্জ পেয়েছেন স্বপ্না। গত জুনে জুনিয়র এশিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে রুপো জিতেছেন। এ বার এশিয়ান গেমসে সিনিয়র বিভাগে ভারতীয় অ্যাথলেটিক দলে জায়গা করে নেওয়ায় খুশি জলপাইগুড়ি ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারাও। স্বপ্নার কোচ সুভাষ সরকারও বলছেন, “পদক জিতুক এটাই চাই।” ফেডারেশন কাপে স্বপ্নার সাফল্য সেই সম্ভাবনাই দেখাচ্ছে। ফেড কাপ অ্যাথলেটিক্সে হেপ্টাথলনে কলকাতার সুস্মিতা সিংহ রায় সেরা হয়েছেন ৫৪০২ পয়েন্ট পেয়ে। স্বপ্নার সংগ্রহ ৫৪০০। সুভাষবাবু জানান, গত এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী পেয়েছিলেন ৪০১৫ পয়েন্টে। রুপো এসেছিল ৫৫০০ পয়েন্টের কিছু বেশি পেয়ে। সোনা ৫৮০০ -এরও বেশি পেয়ে। তাই সোনার স্বপ্ন না দেখলেও রুপো, ব্রোঞ্জের স্বপ্ন তো রয়েইছে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর এশিয়ান গেমসের খেলা। স্বপ্নাকে খেলাধূলার ক্ষেত্রে নানা ভাবে সাহায্য করে থাকেন তাঁর মেন্টর সমীর দাস। তিনি বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এশিয়ান গেমসে খেলতে যাচ্ছে এটাই বড় ব্যাপার। আমরা আশাবাদী।”

লাঠি ধরার ডাক জর্জ বেকারের

নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার

নাম না করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি মানুষকে দল বেঁধে লাঠি ধরার পরামর্শ দিলেন বিজেপি নেতা অভিনেতা জর্জ বেকার। বুধবার বিজেপি-র যুব মোর্চার সপ্তম কোচবিহার জেলা সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভয় পাবেন না। রুখে দাঁড়ান। শুধু পার্টির ছেলেদের বলছি না। আপনাদেরও বলছি। এক একটা বুথে পাড়া থেকে ৬-৭ জন এক সঙ্গে লাঠি নিয়ে রুখে দাঁড়ান।” বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “যদি কেউ জিজ্ঞেস করে লাঠি হাতে কেন? তা হলে বলবেন, পদ্মফুলেমশা বসতে এলে তাদের মারার জন্য।” তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এ দিন জর্জ বেকারের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো ও সম্প্রীতি নষ্টে উস্কানির অভিযোগ করেন। বেকারের গ্রেফতারের দাবিও করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।

চা বাগানে মহিলাকে খুনে অধরা দুষ্কৃতীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা • কুমারগ্রাম

অজ্ঞাত পরিচয় ভবঘুরে মহিলার খুনের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তিন দিন পরেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধর্ষণের পর নলি কেটে ওই মহিলাকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় সংকোশ বাগানের কয়েকজন দুষ্কৃতী যুক্ত বলে তাঁদের সন্দেহ। তদন্তে নেমে পুলিশ কাউকে না ধরায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। পুলিশ জানায় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেখার পর ধর্ষণের বিষয়ে স্পষ্ট হবে। খুনের তদন্ত চলছে।

প্রতিবন্ধীদের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি

বাসে আসন সংরক্ষণ, সরকারি নিয়মে ভাড়া না নেওয়া সহ ১৩ দফা দাবিতে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে অবরোধ করলেন প্রতিবন্ধী সংগঠনের সদস্যরা। ১২টা নাগাদ মহানন্দা সেতু এলাকায় প্রয়াস ওয়েলফেয়ার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামে এক সংগঠন অবরোধ করে। ২০ মিনিট চলার পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

বিক্ষোভে তালা ব্যাঙ্কে

অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম কিনতে হয় টাকা দিয়ে। এর প্রতিবাদে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে ব্যাঙ্কে তালা ঝুলিয়ে দিলেন গ্রাহকেরা। মালদহের চাঁচলের সন্তোষপুরে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় বুধবার ঘটনাটি ঘটে। গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনার পর ঘণ্টা দুয়েক বাদে দুপুর একটায় ব্যাঙ্কের তালা খোলা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অ্যাকাউন্ট খুলতে টাকা নেওয়া-সহ ১০ দফা দুর্নীতির অভিযোগ কর্তৃপক্ষের হাতে দিয়েছেন বাসিন্দারা। সমস্যা না মিটলে ফের আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা। গ্রাহক ও বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে দিনের পর দিন হয়রান হতে হচ্ছে। অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম পিছু দুশো-পাঁচশো টাকা দাবি করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে শচীন দাস নামে এক অস্থায়ী কর্মীর নামে অভিযোগ করেন তাঁরা। ব্যাঙ্কের রিজিওন্যাল ম্যানেজার শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “গ্রাহকদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল। তবে তা মিটে গিয়েছে। আগামী সপ্তাহে আমি ওই এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” চাঁচল শাখার ম্যানেজার অনুপ কুমার রায় বলেন, “শচীন দাসকে ব্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”এই প্রসঙ্গে শচীন দাস বলেন, “আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ঠিক নয়। ব্যাঙ্কে প্রচুর চাপ, তাই কাউকে কখনও পরে আসার কথা বলে থাকতে পারি। কিন্তু টাকা চাওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।”

অন লাইনেও টাকা বকেয়া

অনলাইন ব্যবস্থা চালুর পরেও ১০০ দিনের কাজের বকেয়া না পেয়ে বিপাকে হলদিবাড়ির উপভোক্তারা। রাজ্যের অন্য এলাকার মতো ১ জুলাই থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা হলদিবাড়ি ব্লকে অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। হলদিবাড়ি ব্লকের ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রকল্পের ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বকেয়া। এর মধ্যে বক্সিগঞ্জ পঞ্চায়েতে ৮৭ লক্ষ টাকা, উত্তর বড়হলদিবাড়ি পঞ্চায়েতে ২৩ লক্ষ ও পারমেখলিগঞ্জে ২০ লক্ষ টাকা দীর্ঘদিন ধরে কৃষকেরা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। দেওয়ানগঞ্জ, হেমকুমারি ও দক্ষিণ বড় হলদিবাড়ি পঞ্চায়েতেরও মিলিত বকেয়া ৫০ লক্ষ টাকার বেশি। প্রকল্পের কোচবিহার জেলা নোডাল অফিসার অম্লান তালুকদার বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে টাকা না আসার কারণেই বকেয়া টাকা দিতে দেরি হচ্ছে।”

স্মারকলিপি পেশ

স্কুল পরিদর্শকের অফিসে হয়রানির মুখে পড়তে হয় অভিযোগ তুলে তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠন বুধবার কোচবিহার জেলা স্কুল পরিদর্শককে স্মারকলিপি দিল। তাদের অভিযোগ, কিছু কর্মী দুর্নীতিতে জড়িত। সংগঠনের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। আশা করছি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) মহাদেব শৈব বলেন, “স্মারকলিপি পেয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ফি বৃদ্ধি, ক্ষোভ

স্কুলের বার্ষিক উন্নয়ন ফি ছিল ৫০ টাকা। নতুন নির্দেশে বেড়ে হল ছয় হাজার টাকা। গত সোমবার বিজ্ঞপ্তি দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় আলিপুরদুয়ার জংশন রেলওয়ে হাইস্কুলে। বুধবার প্রতিবাদ জানান রেলের কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। আলিপুরদুয়ার জংশন রেল হাইস্কুল বালক বিভাগে প্রাধন শিক্ষক অসীম দত্তচৌধুরি ও বালিকা বিভাগে প্রধান শিক্ষক রাজ কমল জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অগস্ট থেকেই ওই বর্ধিত ফি কার্যকর করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE