কাকে কোন দফতর, তাই নিয়ে দোলাচলে চেয়ারম্যান। ফলে নতুন পুরবোর্ড গঠনের পর আড়াই মাস কেটে গেলেও এখনও দফতরই বণ্টন হল না ইংরেজবাজার পুরসভায়। যার জন্য পুরসভার কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, দফতর বণ্টন হলে পুরসভার উন্নয়নে গতি আসবে। কিন্তু তৃণমূলের অর্ন্তদ্বন্দ্বের জন্যই ঢিলেমি হচ্ছে। যদিও মাসখানেকের মধ্যেই দফতর বন্টন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের নীহাররঞ্জন ঘোষ।
গত, ৩০ নভেম্বর ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তাঁকে সরিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার (বাবলা)। ১৮ জানুয়ারি দুলালবাবুকে সরিয়ে চেয়ারম্যান করা হয় ইংরেজবাজারের বিধায়ক তথা কাউন্সিলর নীহাররঞ্জন ঘোষকে।
পূর্ত, সাফাই, পরিবহণ, ভবন, উন্নয়ন, জল, স্বাস্থ্য, মিউটেশন, মার্কেট প্রভুতি বিভাগে কাজের তদারকির জন্য চেয়ারম্যান একজন করে কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দেন। সেই কাউন্সিলররা সাধারণ মানুষের বিভিন্ন দাবি দাওয়া দফতরে জানান। কাউন্সিলরদের একাংশ জানান, কৃষ্ণেন্দুবাবুর পদত্যাগকে দলেরই আটজন কাউন্সিলর সমর্থন করেছিলেন। সেই সঙ্গে বিধায়ক নীহাররঞ্জনবাবুর সঙ্গে সিপিএমের ছ’জন কাউন্সিলর সেই সময় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ দফতর কোন কাউন্সিলরকে দেওয়া হবে তা নিয়ে দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। সিপিএমের কাউন্সিলর দুলাল নন্দন চাকি বলেন, ‘‘তৃণমূলের নিজেদের কোন্দলের জন্য শহরবাসীকে ভুগতে হচ্ছে।’’ নীহাররঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘এখানে দ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy