আজ, আজ শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বর বৈঠকে ডেকেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে মমতা দলের জেলা নেতৃত্বের কাছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যানের নামের প্রস্তাব চাইতে পারেন। কাকে চেয়ারম্যান করা হবে তা-ও ওই বৈঠকে মমতা চূড়ান্ত করে দিতে পারেন বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান হিসেবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব প্রাথমিক ভাবে রাজনৈতিক ও পুরসভা চালানোর অভিজ্ঞতার নিরিখে ৬ জন কাউন্সিলররের নামের তালিকা তৈরি করেছেন। তাঁরা হলেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোলা পাল, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অরিন্দম সরকার, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দীনদয়াল কল্যাণী, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সন্দীপ বিশ্বাস, ২৪ নম্বরের কেয়া চৌধুরী ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের অভিজিৎ সাহা। জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, ‘‘দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কে চেয়ারম্যান হবেন তা দল ঠিক করবে।’’ তবে তৃণমূল সূত্রেই খবর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে দলনেত্রী অন্য কোনও কাউন্সিলরকেও চেয়ারম্যান করতে পারেন।
রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর অবশেষে খুলল দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা কার্যালয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ রায়গঞ্জের নেতাজিপল্লি এলাকার ওই কার্যালয়ে যান জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান।
খবর পেয়ে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে প্রায় ৩০ জন কংগ্রেস কর্মী দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। দুপুর ২টা নাগাদ অনুগামীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যান সদ্য নির্বাচিত ৪ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কংগ্রেস কাউন্সিলর অরুণচন্দ্র চন্দ ও অনিরুদ্ধ সাহা। তাঁরা তাঁকে প্রণাম করেন। জেলা সভাপতি তাঁদের শুভেচ্ছা জানান। দলের বিপর্যয় মোকাবিলা করে দলকে ঘুরে দাঁড় করাতে এরপর মোহিত দলের নেতা কর্মীদের একাংশের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেন। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের দলের পরাজিত প্রার্থীরাও। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের দাবি, ‘‘আমরা সন্ত্রাসের কাছে হেরে গিয়েছি। জেলা সভাপতির নেতৃত্বে দলকে ফের শক্তিশালী করার কর্মসূচি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’
পুরসভার ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টি ওয়ার্ড দখল করেছে তৃণমূল। দু’টি ওয়ার্ডে কংগ্রেস ও একটি ওয়ার্ড বিজেপির দখলে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy