ভোট প্রচারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে উত্তেজনা ছড়াল। বুধবার রাতে শিলিগুড়ির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাগরাকোটের ঘটনা।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁদের সমর্থককে মারধর করেছে সিপিএমের কয়েকজন কর্মী বলে অভিযোগ তুলে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেলে। পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সিপিএমের পক্ষ থেকেও। ঘটনার জেরে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছিল শুক্রবার সারাদিনই। এদিন ঘটনাস্থলে যান প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অশোক ভট্টাচার্যও। তিনি তৃণমূল আশ্রিত বহিরাগত দুষ্কৃতীরাই এলাকায় গণ্ডগোল পাকিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে দু’ক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, “একটা বচসা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রুবি পাল দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন। রাতে প্রচার সেরে ফেরার সময় তৃণমূলের এক কর্মী সাগরিকাকে আটকানোর চেষ্টা করে কয়েকজন দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ। রুবিদেবীর অভিযোগ, বাধা দিতে গেলে সিপিএম আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী আমাদের কর্মীদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সহ সভাপতি কৃষ্ণ পাল অভিযোগ করেন, “পুলিশের উচিত দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা।” যদিও সিপিএমের অন্যতম প্রার্থী অশোকবাবু, কয়েক বছর আগে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিজন নন্দীর লোকজন বাইরে থেকে লোক নিয়ে ওই ওয়ার্ডে গিয়ে হামলা করেছেন বলে দাবি করেন। অশোকবাবু অবশ্য তৃণমূলের অভিযোগে নাম থাকা ব্যক্তিদের সিপিএমের সমর্থক বলে স্বীকার করেছেন। তিনি পুলিশের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগও তোলেন। তিনি বলেন, “বাইরে থেকে বিজন নন্দীর লোকজন এসে এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে। অথচ পুলিশ তাদের না খঁুজে আমাদের কর্মীদের খঁুজে বেড়াচ্ছে।”
যদিও প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবিকে হ্যস্যকর বলে মম্তব্য করেছেন বিজনবাবু। তিনি বলেন, “পুরভোটে জমি না পেয়ে এসব কথা বলছেন অশোকবাবু।” ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীও। তিনি বলে, “আমি গোটা ঘটনাটি শুনেছি। কারা কী করছে তা পরিস্কার। দলের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে প্রকৃত দোষীদের ধরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পুলিশ রিপেক্ষভাবে কাজ করবে বলে আমরা আশাবাদী।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy