ক্ষোভ: অবস্থানে ছাত্ররাও। নিজস্ব চিত্র
কলেজে নানা বেনিয়ম চলছে বলে পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিতে এসেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কিন্তু ছাত্রদের সঙ্গে বহিরাগতরা কেন, সেই প্রশ্ন তুলে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে ধর্নায় বসলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে পাল্টা অবস্থানে বসে বিক্ষোভ চলল টিএমসিপিরও। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহের সামসি কলেজে ওই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য ছাত্রদের কাছ থেকে স্মারকলিপি নেন অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ তাদের অভিযোগের উত্তর দিতে পারবেন না বলেই বাইরে ধর্নায় বসে পড়েন বলে পাল্টা অভিযোগ টিএমসিপির।
এ দিন নির্ধারিত সূচি মেনে জিএসের নেতৃত্বে মিছিল করে কলেজে ঢোকে টিএমসিপি। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বহিরাগত বলে অভিযোগ। ফলে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হননি অধ্যক্ষ। তা নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেই ধাক্কাধাক্কি করে আন্দোলনকারীরা অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। ওই সময়েই অধ্যক্ষ বেরিয়ে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কলেজের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন। পাল্টা অবস্থান শুরু হয় টিএমসিপিরও।
টিএমসিপির অভিযোগ, স্মারকলিপিতে কলেজের নানা বেনিয়ম নিয়ে নয় দফা দাবি রয়েছে। কলেজে রাস্তা, পুকুর খোঁড়ার টেন্ডার ছাড়াও ফি মুকুবের ক্ষেত্রেও বেনিয়ম হয়েছে। টিএমসিপির জিএস নাসিরুদ্দিন অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে বাইরের কেউ ছিল না।’’
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনোজ ভোজ বলেন, ‘‘বাইরের কারও সঙ্গে কলেজের সমস্যার কথা শুনব কেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অধিকাংশই বহিরাগত ছিল। তাই ওদের সঙ্গে কথা বলতে চাইনি। অভিযোগের উত্তর দিতে না পারলে পরে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বললাম কীভাবে।’’
কলেজ সূত্রের খবর, এ বার থেকে দুঃস্থ পড়ুয়াদের হাফ ও ফুল ফি মুকুবের বিষয়টি অনলাইনে চালু করা হয়েছে। ৫৮৭ জন পড়ুয়া সেই সুযোগ পেয়েছে। তা অনলাইনে হওয়ার জন্যই তাদের গুরুত্ব কমে গিয়েছে। আর সেটাই টিএমসিপির একাংশের ক্ষোভের মূল কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy