বিজেপির কর্মী বৈঠকে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের একদল কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানার খোল্টা মরিচবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই ঘটনায় অন্তত ৪ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নিতাই দত্ত নামে এক জনের আঘাত গুরুতর। দলের নেতাকর্মীরাই ওই কর্মীকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল বিজেপির তোলা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিজেপির অভিযোগ, এদিন বিকেলে খোলটা চেকপোস্ট এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের মাঠে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পুলিশের অনুমতিও নেওয়া হয়। তারপরেও আচমকা সেখানে তৃণমূলের একদল সমর্থক ঢুকে পড়ে। চেয়ার টেবিল ও মোটর সাইকেল ভাঙচুর শুরু করে। রান্না করা খাবার সামগ্রীও ফেলে দেওয়া হয়। কয়েকজন সমর্থককে মারধরও করা হয়। বৈঠক ভেস্তে যায়। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “দলের ৪ জন জখম হয়েছেন। একজনের মাথা ফেটেছে। পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। বিজেপিকে রুখতেই তৃণমূলের লোকেরা এমন সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে চাইছে।” তিনি জানিয়েছেন, হামলার বিষয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগও হবে।
তৃণমূল অবশ্য হামলা কিংবা মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, এদিন খোল্টা মরিচবাড়ি এলাকাতেই যুব সমর্থকদের একটি সভা ছিল। ওই সমর্থকদের কয়েকজনকে বিজেপির লোকেরা রাস্তায় কটূক্তি করেন। তা নিয়ে বাদানুবাদ হয়। তৃণমূলের কোচবিহার ২ ব্লক সভাপতি পরিমল বর্মন বলেন, “বিজেপির লোকেরাই প্রথম আমাদের সমর্থকদের কটুক্তি করায় বাদানুবাদ হয়। কিন্তু দলের কেউ ওদের সভায় গিয়ে হামলা, মারধর করেনি। ঘটনার নজর ঘোরাতে নিজেরা সভায় ভাঙচুর, গোলমাল করে অপপ্রচার করছে।” পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার উপরে তাঁদের নজর রয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy