ক্ষোভ: নার্সিংহোমের সামনে পরিজনদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসকের গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ তুলে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার পরিজনেরা। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার শহরের কোঠাবাড়ির এক নার্সিংহোমে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নার্সিংহোম জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। এ দিনই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পরিবারের লোকেরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ মার্চ কোঠাবাড়ির বাসিন্দা ডলি রায়কে ভর্তি করা হয় এলাকারই এক নার্সিংহোমে। বছর পঁচিশের ডলিদেবীর স্বামী বিপুল রায় পেশায় চা বিক্রেতা। ওই দিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যাসন্তানের জন্মদেন তিনি। সাতদিন ধরে ভর্তি থাকার পর শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ নার্সিংহোমের চিকিৎসক সায়ন্তন গুপ্ত তাঁকে ছুটি দিয়ে দেন বলে দাবি পরিবারের। তারপরই বাড়ি নিয়ে গেলে প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বুকে জ্বালা, কাঁপুনি এবং শরীর ফুলে যাওয়ায় পরিবারের লোকেরা ফের তাঁকে সন্ধেবেলা নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। তবে রাতের দিকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে হবে। কারণ নার্সিংহোমে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট নেই। রবিবার ভোর ৩টে নাগাদ মৃত্যু হয় ওই প্রসূতির।
এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রসুতির শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে জানানো সত্ত্বেও চিকিৎসক ছুটি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া পরিকাঠামো না গড়েই কীভাবে নার্সিংহোম গড়ে তোলা হল সেই প্রশ্নও তুলেছেন মৃতার আত্মীয় পরিজনেরা। মৃতার স্বামী বিপুলবাবুর অভিযোগ, ‘‘গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা না করার ফলেই আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আমি চিকিৎসক সায়ন্তন গুপ্তের শাস্তি চাই।’’ সায়ন্তনবাবু বলেন, ‘‘রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো থাকায় ছুটি দেওয়া হয়েছিল। তবে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা ফের তাঁকে ভর্তি করি। সবরকম চেষ্টা করেও রোগীকে বাঁচানো যায়নি। এখানে গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়।’’ জেলাশাসক তন্ময়কুমার চক্রবতী বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy