Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রসূতির মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ

নার্সিংহোম এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম বিনা সাহা (৩০)। বাড়ি শীতলকুচি এলাকায়। শিলিগুড়ির সমরনগরে তাঁর পৈতৃক বাড়ি।

বিক্ষোভ: নার্সিংহোমে মৃতার পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ: নার্সিংহোমে মৃতার পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৫৪
Share: Save:

প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুললেন পরিবারের লোকেরা। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির বলাইদাস চট্টোপাধ্যায় রোডে ওই নার্সিংহোমের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিবারের লোকেরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিকেলে মৃতদেহ নিয়েও নার্সিংহোমের সামনে আরেক দফায় ক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ সামাল দেয়। মৃতার পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা পুলিশে অভিযোগ জানাচ্ছেন।

নার্সিংহোম এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম বিনা সাহা (৩০)। বাড়ি শীতলকুচি এলাকায়। শিলিগুড়ির সমরনগরে তাঁর পৈতৃক বাড়ি। স্বামী বাপিবাবুর অভিযোগ, চিকিৎসক পুলক সাহার কাছে চিকিৎসা চলছিল তিন মাস ধরে। তাঁর কথা মতো বুধবার সকাল আটটা নাগাদ এই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় বলে দাবি। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ অস্ত্রোপচার করে বিনাদেবীর এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেওয়া হয়। অভিযোগ, এরপর থেকেই রোগিণীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছিল না। পরে চিকিৎসক জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল। তবে এখন ভয় কেটেছে। এক ঘণ্টা পর শয্যায় দেওয়া হবে। দেড় ঘণ্টা পরেও দেওয়া হয়নি দেখে ফের জানতে চাইলে আরও এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলা হয়। এ ভাবে সময় নষ্ট করা হচ্ছিল। বাপিবাবু বলেন, ‘‘আমরা জানিয়েছিলাম অন্য কোথাও রেফার করতে হলে বলুন। পরে বেলা ৬টা নাগাদ চিকিৎসক জানান, তিলক রোডের একটি নার্সিংহোমে রেফার করা হচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, রোগিণীর অবস্থা জেনে প্রথমে ওই নার্সিংহোম ভর্তি করাতে চাননি। চিকিৎসকের অনুরোধে ভর্তি করানো হয়। তাঁর কথায়, ‘‘এ দিন সকালে গেলে জানানো হয় স্ত্রী মারা গিয়েছে। প্রথম নার্সিংহোমে চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল বলেই স্ত্রীকে হারাতে হল। এর বিচার চাই।’’

চিকিৎসক পুলকবাবুর মোবাইলে ফোন বন্ধ রয়েছে। নার্সিংহোমেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। নার্সিংহোমের মালিকপক্ষর অন্যতম অমিত দাস বলেন, ‘‘সন্তানজন্ম দেওয়ার পর প্রসূতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। তা পরিবারকে জানানো হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোগীর পরিবারের ইচ্ছেতেই অন্য নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান। এখন টাকা দাবি করে চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’ সদ্যোজাত নার্সিংহোমেই সুস্থ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

negligence Pregnant Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE