Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভয় দেখিয়ে প্রার্থী, নালিশ

বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর স্বামীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে প্রার্থী করেছেন। রায়গঞ্জ থানায় এই অভিযোগ দায়ের করলেন শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মনোজিৎ মজুমদারের স্ত্রী সঞ্চিতা দাস মজুমদার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০০
Share: Save:

বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর স্বামীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে প্রার্থী করেছেন। রায়গঞ্জ থানায় এই অভিযোগ দায়ের করলেন শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মনোজিৎ মজুমদারের স্ত্রী সঞ্চিতা দাস মজুমদার।

গত বৃহস্পতিবার সঞ্চিতাদেবী পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগপত্রে তিনি বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সহকারী সভাপতি পরিমল মল্লিক, দলের চিকিত্সা পরিষেবা সেলের আহ্বায়ক আনন্দ সরকারের নাম উল্লেখ করেছেন।

সঞ্চিতাদেবীর অভিযোগ, গত ২৩ এপ্রিল সকাল ৮টা নাগাদ পূর্ব কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা পরিমলবাবু ও উকিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনন্দবাবুর নেতৃত্বে বিজেপি আশ্রিত অজ্ঞাতপরিচয় একদল দুষ্কৃতী তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের দাবি, ‘‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চাপ ও হুমকি দিয়ে মনোজিৎবাবুকে মনোনয়ন তোলাতে ব্যর্থ হওয়ায় সঞ্চিতাদেবীকে ভয় দেখিয়ে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করাতে বাধ্য করেছে। ভক্তবাবুকে নির্বাচন থেকে সরাতে তৃণমূল বারবার তাঁকে ও তাঁর পরিবারের লোকেদের ভয় দেখাচ্ছে।’’

জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপি প্রার্থী না পেয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মনোজিৎবাবু সহ বেশ কিছু মানুষকে খুনের হুমকি দিয়ে জোর করে প্রার্থী করেছে। আর ভক্তবাবু মিথ্যা অভিযোগ করে প্রচারে আসার চেষ্টা করছেন।’’

অন্য দিকে, তৃণমূলের একটানা হুমকির জেরে আতঙ্কে তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ তুললেন রায়গঞ্জ পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী তথা দলের যুব সংগঠন যুব মোর্চার উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি ভক্তকুমার রায়। শুক্রবার বিকালে ভক্তবাবু দলের তরফে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ই-মেলের মাধ্যমে ওই অভিযোগ জানিয়েছেন। রায় পরিবারের দাবি, ২৬ এপ্রিল রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে চড়াও হওয়ার পরে ভক্তবাবুর মা প্রবীণা রাধারানি রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ তাঁকে রায়গঞ্জে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাধারানিদেবী বলেন, ‘‘তৃণমূল যে ছেলের ক্ষতি করে দিতে পারে, এই আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’’

পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, ‘‘দু’টি অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত, কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE