একদিকে তৃণমূলের দাপট, একদিকে বিজেপিও ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তর মালদহে একাধিক দলীয় কর্মসূচি নিয়ে গড় সামলাতে মাঠে নেমে পড়ল কংগ্রেস। সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে গাজোল, অঞ্চল সম্মেলন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য শিবিরের মাধ্যমে জনসংযোগে নামেন কংগ্রেস কর্মীরা।
২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০টি ব্লককে নিয়ে গঠিত উত্তর মালদহে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছিল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস গড় ধরে রাখে। ৩৩.৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে উত্তর মালদহ থেকে সাংসদ হন কংগ্রেসের মৌসম নূর।
কিন্তু ২০১৫ সাল থেকেই তৃণমূল একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলি ছিনিয়ে নিতে শুরু করে। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, বামেরা সমঝোতা করায় তৃণমূল বা বিজেপি উত্তর মালদহে কোনও সুবিধা করতে পারেনি।
তবে এই মুহূর্তে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বেশির ভাগ দলীয় সদস্যদের দলে টেনে কংগ্রেসকে চাপে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপিও কেন্দ্রে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরকে উত্তর মালদহের সাংগঠনিক কাজ দেখার দায়িত্ব দিয়ে চাপে রেখেছে। তাই জনসংযোগ বাড়াতে টানা এপ্রিল মাস জুড়ে বুথ থেকে অঞ্চল সম্মেলন ও নানা সামাজিক কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস।
মৌসম বলেন, ‘‘আমরা সারা বছরই মানুষের পাশে থেকে জনসংযোগ রক্ষা করি। আমাদের সঙ্গে মানুষ রয়েছে তাই গড়কে কেউই ভাঙতে পারবে না।’’ তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের কটাক্ষ, পায়ের তলার যে মাটি সরে গিয়েছে সেটা কংগ্রেস নেতারা বুঝতে পেরেছেন। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উত্তর মালদহের মানুষ বিজেপিকে চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy