প্রতীকী ছবি।
গৌতম সরকার নামে এক যুবককে খুন করার পরে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পুলিশকে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশের সন্দেহ, ভাড়াটে খুনিরা গৌতমকে খুন করেছে। তাতে ওই যুবকের পরিচিতরাই জড়িত। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই যুবকের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ওইদিন সকালে তাদের বেশ কয়েকজনকে ডাউয়াগুড়ি বাজারে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারা। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। দ্রুত কিনারা হবে।”
বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকায় যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর বিধানসভা এলাকা নাটাবাড়ির মধ্যেই পড়ে এলাকা। পাশাপাশি মন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি ওই এলাকাতেও। তিনি এখনও ওই এলাকার ভোটার। তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, দু’টি সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর লড়াইয়ের ফলেই মারা গিয়েছেন ওই যুবক। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছি। এমন ধরনের কাজে যারা অভিযুক্ত, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করবে পুলিশ। এলাকায় যাতে কোনও ভাবেই শান্তি বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে পুলিশ।” কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের কার্যকরী সভাপতি আজিজুল হক ওই এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।”
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুটি সমাজবিরোধী গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকায় সক্রিয়। দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে একাধিক খুনের ঘটনাও ঘটেছে ওই এলাকায়। জমির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, তোলাবাজি ঘিরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই। তদন্তকারীদের ধারণা, সেই লড়াইয়েরই শিকার হলেন গৌতম। তদন্তকারীদের সন্দেহ, খুনিদের অন্য এলাকা থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছে, যাতে তাদের কেউ চিনতে না পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy