Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পোশাক নিয়ে আবার বিতর্ক

দফতর সূত্রের খবর, নির্দেশে রয়েছে পোশাক ১৭ অক্টোবরের মধ্যে কিনতে হবে। অথচ, এ দিন থেকেই স্কুলগুলিতে পুজোর ছুটি হয়ে গেল। স্কুল খুলবে ২৩ অক্টোবর। ফলে স্কুল ছুটির সময় কীভাবে শিক্ষকেরা পোশাক কিনবেন সেই প্রশ্ন উঠেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১০
Share: Save:

মালদহ জেলায় প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাক বিলি নিয়ে একের পর এক প্রশাসনিক নির্দেশিকার জেরে বিতর্ক থামছে না। সোমবার ফের এক নির্দেশিকা জারি করে এ বার পোশাক কেনার টাকা স্কুলে পাঠিয়ে, শিক্ষকদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছ থেকেই পোশাক কিনতে বলা হয়েছে।

দফতর সূত্রের খবর, নির্দেশে রয়েছে পোশাক ১৭ অক্টোবরের মধ্যে কিনতে হবে। অথচ, এ দিন থেকেই স্কুলগুলিতে পুজোর ছুটি হয়ে গেল। স্কুল খুলবে ২৩ অক্টোবর। ফলে স্কুল ছুটির সময় কীভাবে শিক্ষকেরা পোশাক কিনবেন সেই প্রশ্ন উঠেছে।

প্রতি বছরই মালদহ জেলার প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পোশাক তৈরির দায়িত্ব ভিলেজ এডুকেশন কমিটির মাধ্যমে স্কুল শিক্ষকদেরই দেওয়া হয়। গত বছর জেলার ১৪৬টি পঞ্চায়েতের শুধুমাত্র দুটি করে প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পোশাক তৈরির বরাত স্বর্নিভর গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়, বাকিক্ষেত্রে স্কুলই দায়িত্ব পায়। অভিযোগ, গত বছর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দেওয়া পোশাক নিম্নমানের ছিল। এ বার মার্চের শেষে জেলার ৩১টি সার্কেলের সমস্ত প্রাইমারি স্কুল ও কিছু আপার প্রাইমারির ছাত্রছাত্রীদের পোশাক তৈরির বরাত দেওয়া হয় তন্তুজকে।

বাকি থাকা আপার প্রাইমারির পোশাকের বরাত দেওয়া হয় জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর দলগুলিকে। ওই নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সর্বশিক্ষা মিশন) দেবতোষ মণ্ডল। কিন্তু এই বরাত নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি তুলেছিল শাসকদলের সংগঠন-সহ বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। গত ১ সেপ্টেম্বর দেবতোষবাবুই ফের একটি নির্দেশ জারি করে তন্তুজের বদলে শুধু স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে স্কুলকে পোশাক কেনার নির্দেশিকা জারি করেন। তবে পোশাকের দাম মেটানো হবে জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে। জানা যায়, ওই নির্দেশ পেয়ে আপার প্রাইমারি স্কুলগুলি পোশাক নিলেও জেলার বেশিরভাগ প্রাইমারি স্কুল সেই নির্দেশ মানেনি।

এ দিন ফের দেবতোষবাবু একটি নির্দেশ জারি করেছেন এবং সেখানে বলা হয়েছে এবার স্কুলের শিক্ষকদের কাছে পোশাক কেনার টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু পোশাক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছ থেকেই নিতে হবে। দেবতোষবাবু বলেন, ‘‘স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা ওই স্কুলগুলিতে গিয়েছিলেন। ফলে প্রধান শিক্ষকদের কাছে তাঁদের ফোন নম্বর রয়েছে। সেই নম্বরে যোগাযোগ করে স্কুলের কত পড়ুয়ার পোশাক লাগবে তা বরাত দিতেই পারে তাঁরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Uniform School Controversy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE