—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে কোচবিহারে। উত্তরবঙ্গের এই জেলা এক সময় একরকম বামেদের দখলে ছিল। পরে তৃণমূলের প্রভাব বাড়ে। সম্প্রতি বিজেপিও পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেয়েছে। তাই তিন দলের টক্করে এলাকা তাতছে। ছোটখাট গণ্ডগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
মেখলিগঞ্জে জমি পুনরুদ্ধারে নেমেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। তার মধ্যে দেড় সপ্তাহের ভিতরেই কয়েকটি গণ্ডগোলে উত্তেজনা বেড়েছে।
সোমবার রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দলের বৈঠকে হামলা, নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ তুলে কোচবিহার শহরে ধিক্কার মিছিল করা হয়। পরে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল পুলিশ সুপারের দফতরে গিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ জানান। বিজেপির অভিযোগ, রবিবার বিকেলে খোল্টা মরিচবাড়ি এলাকায় একটি প্রাথমিক স্কুলের মাঠে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালায়। চেয়ার-টেবিল, মোটরবাইক ভাঙচুরের পাশাপাশি কয়েকজনকে মারধর করে। ওই দিনই মাথাভাঙার ফুলবাড়িতে দলের যুব সংগঠনের সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর ও তুফানগঞ্জের দুই নেতাকে মারধর করা হয়। কিছু দিন আগে দিনহাটাতে একটি সভায় হামলা হয়। জেলা সভাপতির গাড়িও ভাঙচুর হয়। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ওই সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “জেলায় আমাদের সংগঠন বাড়ছে। তাই পঞ্চায়েতের আগে আতঙ্কের আবহ তৈরি করতে তৃণমূল সন্ত্রাস শুরু করেছে।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অপপ্রচার করছে। জেলায় ওদের সংগঠন নেই। কোথাও কোনও হামলা, গোলমালের ব্যাপার নেই।”
বামেদের আশঙ্কা, পঞ্চায়েতের ভোট যত এগোবে গোলমালের সম্ভবনা তত বাড়বে। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক পরেশ অধিকারী বলেন, “মেখলিগঞ্জে বুথ ভিত্তিক সভা হচ্ছে। কালীপুজোর পর অন্য মহকুমাতেও হবে। ভোটের আগে এলাকা বুঝে বিজেপি, তৃণমূল দুই শিবিরের তরফেই বামেদের ওপরেও আক্রমণ হতে পারে। কারণ পঞ্চায়েতে বামেরা ফ্যাক্টর হবে।” দুই শিবিরই ওই বক্তব্য আমল দিতে চায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, সর্বত্রই নজর রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy