লড়াকু: ভোটের ময়দানে ক্যারাটে শিক্ষিকা। নিজস্ব চিত্র
তিনি ক্যারাটে শেখান, লড়েনও। আবার ভোটে লড়তেও পিছপা নন। তিনি সোমা মণ্ডল। ধূপগুড়ি পুরভোটে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী।
এ বারে প্রচারে নেমে সোমা সেখানে নিয়ে এলেন ক্যারাটের প্রসঙ্গ। বললেন, “ক্যারাটে শুধু রোজগারের আশায় শেখাই না। মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষায় সামাজিক একটি দায়িত্ব থেকেও ক্যারাটে শেখাই। অনেক জায়গায় শিবির করে বিনা পারিশ্রমিকে ক্যারাটে শেখাতে হয়।”
এক দিকে রাজনীতি, অন্য দিকে ক্যারাটে— এই ভাবেই কলেজ জীবন থেকে দিন কেটেছে সোমার। এখন ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট সোমা এক সময়ে দাপটের সঙ্গে এসএফআই ও ডিওয়াইএফ করতেন। পাশাপাশি সেই পঞ্চম শ্রেণিতে হাতেখড়ি ক্যারাটেতে। জেলা স্তরে দ্রুত নজর কাড়েন। তার পরে রাজ্য স্তরের স্কুল ক্যারাটে থেকে অল ইন্ডিয়া স্কুল ক্যারাটে প্রতিযোগিতা, শেষে ২০০৯ সালে জাতীয় ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হন তিনি।
তিরিশ বছর বয়সী সেই সোমাকে এমন একটি ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে সিপিএম, ধূপগুড়ি পুরসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে যেখানে তারা কখনও হারেনি। অথচ সোমা তো ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তা হলে কেন তাঁকে ১৩ নম্বরে নিয়ে আসা হল? সিপিএমের তরফে বলা হচ্ছে, সোমার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি কাজে লাগাতে
চাইছে দল।
সোমাও মহা উদ্যমে নেমে পড়েছেন ময়দানে। বলছেন, ‘‘কোনও লড়াইকেই ভয় পাই না। ভোটেও বিরোধীদের কুপোকাত করব।’’ শুনে অবশ্য তৃণমূলের লোকেরা হাসছেন। তাঁদের বক্তব্য, ক্যারাটের ম্যাট আর ভোটের ময়দান এক নয়, সেটা সোমা শিগগিরই বুঝতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy