এ বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হল খোদ জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আট বছরের মেয়ে৷ শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে তার চিকিৎসা চলছে৷
স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈকতবাবু বলেন, ‘‘জলপাইগুড়ি শহর কখনই ডেঙ্গির উৎপত্তিস্থল নয়। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা সবাই বাইরে থেকে এসেছেন। আমার মেয়েও কয়েকদিন চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়িতে ছিল। তবুও মশা মারতে ধোঁয়া দেওয়া হবে। মানুষকে সচেতনও করা হবে।’’
ডেঙ্গি সন্দেহে এই মুহূর্তে শিলিগুড়ির বিভিন্ন নার্সিংহোমে জলপাইগুড়ির আরও ২০-২৫ জন বাসিন্দার চিকিৎসা চলছে বলে খবর৷ তাই আতঙ্ক বাড়ছে শহরে৷ গত বছর জেলায় যেখানে ১৯৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেখানে এ বছর ইতিমধ্যেই সংখ্যাটা ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ যদিও প্রথম থেকেই স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার তরফে দাবি করা হচ্ছিল জলপাইগুড়ি শহরে এ বছর সে ভাবে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী নেই৷ স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত এই শহরে ৩৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন৷ কিন্তু বেসরকারি মতে সেই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি৷ পুরসভারই একটি সূত্রের দাবি, ডেঙ্গিতে জলপাইগুড়ি পুরসভার যে সব ওয়ার্ডের মানুষ এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন, তারমধ্যে খোদ চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডও রয়েছে৷
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি ধরা পড়ে সৈকতবাবুর মেয়ের৷ সৈকতবাবু জানান, গত মাসের কিছু শারীরিক সমস্যার জন্য কয়েকদিন তাঁর মেয়ে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিল৷ তারপর বাড়ি ফিরে যায়৷ গত বৃহস্পতিবার ও অসুস্থ বোধ করে৷ তারপর রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গি ধরা পড়ে৷ সৈকতবাবু ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হলেও তার বাড়ি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে৷ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দীনেশ রাউত বলেন, ‘‘ওয়ার্ডের আরও কয়েকজনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে৷ কিন্তু প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, হয় শিলিগুড়ি, নয়তো কলকাতা থেকে জলপাইগুড়িতে আসার পর তাদের ডেঙ্গি হয়েছে৷’’
জলপাইগুড়ির ডেপুটি সিএমওএইচ-২ দেবাশিস সরকারও বলেন, ‘‘জলপাইগুড়ি শহরের এখনও পর্যন্ত যারা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন তারা বাইরে থেকেই এই রোগ নিয়ে এসেছে৷ ডেঙ্গি রুখতে এ বছর প্রথম থেকেই সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা৷ যা এখনও অব্যাহত রয়েছে৷’’
জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, ‘‘শহরে যাতে ডেঙ্গি ছড়াতে না পারে সে জন্য অনেকদিন ধরেই কাজ করছেন পুরকর্মীরা৷ সর্বত্র ফগিং ও স্প্রের পাশাপাশি দ্রুত জঞ্জাল সাফাই ও ডোর টু ডোর সার্ভের কাজও জারি রয়েছে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy