Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

খেতে পড়ে দেহ, সন্দেহ ধর্ষণ করে খুন

এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির বোদাগঞ্জে৷ এ দিন দুপুরে ভগলভিটা এলাকায় ফাঁকা খেত থেকে ওই মহিলার অর্ধনগ্ন দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫২
Share: Save:

এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির বোদাগঞ্জে৷ এ দিন দুপুরে ভগলভিটা এলাকায় ফাঁকা খেত থেকে ওই মহিলার অর্ধনগ্ন দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা৷

এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবিতে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা৷ পরিস্থিতি সামলাতে শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় পুলিশ কুকুর ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু হয়৷ তার পর পুলিশ দেহ উদ্ধারে সমর্থ হয়৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর পঁয়তাল্লিশের আদিবাসী ওই মহিলার বাড়ি ভান্ডিগুড়ি চা বাগানের চিলাডাঙা লাইনে৷ বাড়িতে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন৷ এক সময় সে ওই চা বাগানেই কাজ করতো৷ তবে বর্তমানে নিজের চাকরিটি ছেলেকে দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন বাগানে কখনও অস্থায়ী শ্রমিক কিংবা দিনমজুরের কাজ করতেন৷ প্রায় বারো বছর আগে ওই মহিলার স্বামীর মৃত্যু হয়৷

ওই মহিলার ছেলে জানিয়েছেন, রবিবার বেলা দশটা নাগাদ মহিলা কারও কাছ থেকে টাকা আনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন৷ তার পর আর ফেরেননি৷ ছেলে বলেন, ‘‘সন্ধ্যায় খুঁজতে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু রাতভর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।’’ শেষ পর্যন্ত এ দিন দুপুরে ভগলভিটায় একটি বাঁশ ঝাড়ের পাশে খেত থেকে তাঁর দেহটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, মহিলার দেহের উপরের অংশের কাপড় কয়েকটি টুকরোয় ছেড়া অবস্থায় পাশে পড়ে ছিল৷ শরীরের নীচের অংশের কাপড়ও ছেড়া ছিল৷ দেহ থেকে খানিকটা দূরে তাঁর পায়ের চটি ও একটি ব্যাগ পড়ে ছিল৷ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে জায়গায় দেহটি মিলেছে, তার চার পাশে চা বাগান রয়েছে৷ ফলে জায়গাটি সহজে নজরে আসে না।

খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা৷ তাদের দাবি, পুলিশ কুকুর এনে তদন্ত করতে হবে। শেষে পুলিশ কুকুর এলে বিক্ষোভ ওঠে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।

কেন স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে? স্থানীয় বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘‘যে ভাবে দেহটি পড়েছিল, তাতে করে এই কথাই মনে হয়।’’ তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, সম্ভবত শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে তাঁকে৷

শীতের সময় প্রচুর মানুষ পিকনিক করতে বোদাগঞ্জে যান৷ স্থানীয়দের কারও কারও সন্দেহ, এটা কোনও পিকনিক দলের কাজ। কিন্তু কৃষ্ণ দাসের দাবি, মহিলার দেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার আশেপাশে কোথাও রবিবার পিকনিক হয়নি৷

জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, কী ভাবে মহিলার মৃত্যু হল, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rape Murder Suspicion Dead Body
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE