Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

খেলার ছলেই ফাঁসে মৃত শিশু

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের বাড়ি থেকে ওই শিশুকন্যার ধুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ কিন্তু ঘটনার প্রায় তিন-সাড়ে তিন ঘণ্টা পর বাড়ির লোক পুলিশকে খবর দেওয়ায় গোটা বিষয়টি নিয়ে রহস্য দানা বাঁধে৷

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৪
Share: Save:

খেলার ছলেই সম্ভবত কোনও ভাবে গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ির গোমস্ত পাড়ার সাত বছরের শিশুকন্যার৷ ঘটনার তদন্তে তেমন ইঙ্গিতই জোরালো হচ্ছে পুলিশের কাছে৷ তবে ময়না তদন্ত ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু বলতে নারাজ পুলিশ কর্তারা৷

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের বাড়ি থেকে ওই শিশুকন্যার ধুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ কিন্তু ঘটনার প্রায় তিন-সাড়ে তিন ঘণ্টা পর বাড়ির লোক পুলিশকে খবর দেওয়ায় গোটা বিষয়টি নিয়ে রহস্য দানা বাঁধে৷ এই মৃত্যুর পিছনে রহস্যের আরও অনেক কারণ ছিল৷ প্রথমত, বাড়ির লোকেদের দাবি ছিল, শিশুটি টিভিতে অপরাধের কাহিনি নিয়ে তৈরি ধারাবাহিক বেশি করে দেখত৷ এমনকী, গলায় ফাঁস কী ভাবে দিতে হয়, তা-ও সে মৃত্যুর দিন কয়েক আগে তার মায়ের কাছে জানতে চেয়েছিল৷

ফলে প্রাথমিকভাবে বাড়ির লোকেদের অনুমান হয়, টিভিতে ধারাবাহিক দেখেই খেলার ছলে গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয় ওই শিশুর৷ কিন্তু মৃত্যুর পরের দিন মর্গে শিশুর দেহটি দেখার পর তাদের সন্দেহ হয় তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে৷ সেই মর্মে তারা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও করেন৷ কিন্তু ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের পর পুলিশ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় যে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়নি৷

স্বাভাবিকভাবেই এরপর প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি শিশুটির খেলার ছলেই ফাঁস লেগে মৃত্যু হল, না কেউ তাকে খুন করল? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতেই ওই বাড়িতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও যান৷ পুলিশ সূত্রের খবর, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা এখনও তাদের রিপোর্ট না দিলেও, পুলিশকর্তারা ওই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন, কেউ শিশুটিকে খুন করেনি৷

জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বা পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলি দেখে এখনও পর্যন্ত যেটা অনুমান করা হচ্ছে, হয়তো সিরিয়ালের নেশায় খেলার ছলেই শিশুটির গলায় ফাঁস লেগে যায়৷ তবে তদন্ত এখনও চলছে৷ সেখানে খুনের সম্ভবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ময়না তদন্ত ও বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট হাতে আসার পরই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাবে৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE