অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিসে (এএইস) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বাড়ছেই। বয়স্ক বাসিন্দাদের মৃত্যুর সংখ্যাই বেশি। বুধবার আরও এক জনের মৃত্যু হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর নাম লিলি খাতুন (৪০)। বাড়ি চোপড়ায়। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে তিনি জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত কি না সে বিষয়ে পরীক্ষা রিপোর্ট এখনও আসেনি। এ বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ন’জনের মৃত্যু হল। তার মধ্যে দু’জন জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত।
এ দিন খিঁচুনি জ্বর নিয়ে আক্রান্ত অন্তত সাত জন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিসিইউতে রয়েছেন দুই জন। এইএস ওয়ার্ডে রয়েছেন তিন জন। এ ছাড়া শিশু বিভাগ, মেডিসিন বিভাগে এক জন করে ভর্তি রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমেই আশঙ্কা বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, গত বছর থেকে বয়স্ক বাসিন্দাদের জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এই কাজ ব্যাপকভাবে করা দরকার। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে টিকাকরণ করা হলেও এখনও অনেক বাসিন্দাদের টিকাকরণ হয়নি। সমস্ত বয়স্ক বাসিন্দাদের টিকাকরণের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শিশুদের টিকাকরণ আগে থেকেই হচ্ছে। সে দিকেও সঠিক ভাবে নজর দেওয়া দরকার। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার নির্মল বেরা বলেন, ‘‘জ্বর নিয়ে দুই এক জন করে রোগীরা আসছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির মতো জেলা হাসপাতালগুলিতে জেই নির্ণায়ক পরীক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে জেলাগুলির চিকিৎসা ব্যবস্থা উপর ভরসা নেই বাসিন্দাদের একাংশের। খিঁচুনি জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জেলাগুলি থেকে অনেক ক্ষেত্রেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করাও হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, তার একটি বড় কারণ জাপানি এনসেফ্যালাইটিস না হলে অন্য কোনও ভাইরাসে রোগ সংক্রমণ ঘটছে তা নিয়ে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। রোগীর পরিস্থিতি অবনতি হলে তারাও ঝুঁকি নিচ্ছেন না। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই রেফার করছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মৃত চন্দ্রধর বর্মন এবং এ দিন মৃত লিলি খাতুনকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন রোগীর পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি পর রেফার করলে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy